যত ভালো কাজ দেখেছি, সব কাজে আব্দুল্লাহ আল নোমানের হাত ছিল— – মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, তরুণ প্রজন্মের উচিত আব্দুল্লাহ আল নোমানের জীবন ও আদর্শ থেকে শিক্ষা গ্রহণ করা। একজন আদর্শিক নেত…ত্বের প্রতি”ছবি ছিলেন আব্দুল্লাহ আল নোমান।
উপদেষ্টা শনিবার চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও অ্যানিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় (সিভাসু) আয়োজিত সাবেক মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী, বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম আবদুল্লাহ আল নোমান-এর স্মরণসভায় প্রধান অতিথির বক্ত…তায় এসব কথা বলেন।
উপদেষ্টা বলেন, আব্দুল্লাহ আল নোমান যে মমতা, সহমর্মিতা ও প্রজ্ঞার মাধ্যমে রাজনীতি করেছেন, তা বর্তমান সময়ে অত্যন্ত প্রয়োজন। তিনি শুধু একজন রাজনীতিবিদই ছিলেন না, ছিলেন মানবতার প্রতীক। দেশ ও জাতির কল্যাণে তাঁর অবদান অম্লান হয়ে থাকবে।
ফরিদা আখতার বলেন, চট্টগ্রাম তথা দেশের রাজনৈতিক, শিক্ষা, স্বা¯’্য, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদখাতে প্রয়াত আব্দুল্লাহ আল নোমান যে অবদান রেখেছেন, তা চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। তিনি ছিলেন একজন উদার এবং বড় মাপের মানুষ। সব সময় সাধারণ মানুষের কল্যাণে কাজ করে গেছেন। আবদুল্লাহ আল নোমান চট্টগ্রামের উন্নয়নের এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। তিনি বলেন, ‘মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব নেওয়ার পর যত ভালো কাজ দেখেছি সব কাজে আব্দুল্লাহ আল নোমানের হাত ছিল। তিনি মন্ত্রণালয়ে দায়িত্বে থাকার সময় এই কাজগুলো করে গেছেন। তাকে আমি অনুসরণ করে প্রতিটি মুহূর্তে যতটুকু পারি ভালোভাবে কাজ করার চেষ্টা করি।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোহাম্মদ লুৎফুর রহমানের সভাপতিত্বে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন মরহুম আবদুল্লাহ আল নোমানের সন্তান ইস্ট ডেল্টা ইউনিভার্সিটির চেয়ারম্যান, তরুণ রাজনীতিবিদ সাঈদ আল নোমান, আবদুল্লাহ আল নোমানের কন্যা তাজীন নোমান নুমা, দৈনিক আমার দেশের আবাসিক সম্পাদক জাহিদুল করিম কচি, দৈনিক পূর্বকোণের নগর সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা নওশের আলী খান, সিভাসু’র প্রফেসর ড. এ. কে. এম. সাইফুদ্দিন, প্রফেসর ড. পরিতোষ কুমার বিশ্বাস, প্রফেসর ড. মোহাম্মদ রাশেদুল আলম সহ অন্যরা।
মরহুম পুত্র সাঈদ আল নোমান বলেন, ‘আমি চাই এই বিশ্ববিদ্যালয় (সিভাসু) যেন কোন রাজনীতির মধ্যে পড়ে না যায়। এ বিশ্ববিদ্যালয় যেন সবকিছুতে নিরপেক্ষ থাকে এবং ভালো গ্র্যাজুয়েট তৈরির চেষ্টা করে। আমার পিতার প্রতিষ্ঠিত এই বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য আমি সবকিছু করতে প্র¯‘ত।’ তিনি আরও বলেন, ‘আবদুল্লাহ আল নোমান ছিলেন একটি প্রতিষ্ঠান। তিনি নিজের জন্য কিছু করে যাননি। জনগণের জন্যই আজীবন কাজ করে গেছেন।’
সভাপতির বক্তব্যে সিভাসু’রউপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ লুৎফুর রহমান বলেন, ‘বিশ্বমানের পাঠ্যসূচি, অত্যাধুনিক ল্যাবরেটরি এবং ইন্টারন্যাশনাল কল্যাবরেশনের মাধ্যমে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা অর্জন করছে আন্তর্জাতিক মানের শিক্ষা। এটি বাংলাদেশের একমাত্র বিশ্ববিদ্যালয়-যার শতভাগ শিক্ষার্থী বিদেশে ইন্টার্নশিপ করার সুয়োগ পেয়ে থাকে। এই প্রতিষ্ঠানের রূপকার হিসেবে সিভাসু পরিবার মরহুম আবদুল্লাহ আল নোমানের প্রতি চিরক…তজ্ঞ থাকবে।’
স্মরণসভার শুরুতে ‘সিভাসু এবং আব্দুল্লাহ আল নোমান’ শীর্ষক একটি মাল্টিমিডিয়া প্রেজেন্টেশন উপ¯’াপন করেন ওয়ান হেলথ ইনস্টিটিউটের পরিচালক প্রফেসর ড. মো. আহসানুল হক।
আলোচনা সভায় বক্তারা প্রয়াত আব্দুল্লাহ আল নোমানের রাজনৈতিক জীবন, দর্শন ও সমাজকল্যাণমূলক কর্মকাণ্ড তুলে ধরেন এবং তাঁর অবদানের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান।
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.