চট্টগ্রাম বন্দরের ট্যারিফ (মাশুল ) ৩০ শতাংশ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত, ৩৯ বছর পর মাশুল বাড়ছে —নৌ পরিবহণ উপদেষ্টা
চট্টগ্রাম বন্দরের নিউমুরিং কন্টেইনার টার্মিনাল পরিচালনার দায়িত্ব ড্রাইডকের মাধ্যমে বাংলাদেশ নৌবাহিনীকে দেয়ার পর কন্টেইনার হ্যান্ডলিং ৩০শতাংশ বৃদ্ধি হয়েছে বলে জানিয়েছেন নৌ পরিবহণ উপদেষ্ঠা অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ড. এম শাখাওয়াত হোসেন।
গত ৭ জুলাই চট্টগ্রাম বন্দরের বহুল আলোচিত নিউমুরিং কন্টেইনার টার্মিনাল পরিচালনার দায়িত্ব বাংলাদেশ নৌবাহিনীকে দেয়ার পর শক্রবার পরিদর্শনে এসে নৌ পরিবহন উপদেষ্টা একথা বলেন।
এসময় উপদেষ্টা জানান, আমদানি রপ্তানি পণ্যের চট্টগ্রাম বন্দরের ট্যারিফ (মাশুল ) গড়ে ৩০ শতাংশ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। সম্প্রতি আন্তঃমন্ত্রণালয়ের সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। বিষয়টি নিয়ে স্টেক হোল্ডারদের সাথে আলোচনা হয়েছে বলে দাবি করেন উপদেষ্টা। সবশেষ ১৯৮৬ সালে মাশুল বাড়ানো হয়েছিলো, সে হিসাবে ৩৯ বছর পর বন্দরের মাশুল বাড়াচ্ছে বলে জানান উপদেষ্ঠা। তিনি বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন বন্দরে ট্যারিফ দেখার পর দেখা গেছে এখনো এখানে ট্যারিফ অনেক কম। এমনকি মোংলা পোর্ট থেকেও কম। ১৯৮৬ সালের পর বন্দরের ট্যারিফ আর বাড়ানো হয়নি। আপনারা দেখেন ১৯৮৬ সালের এক টাকার মূল্য এখন কত হয়েছে।
নৌপরিবহন উপদেষ্টা আরো বলেন, চট্টগ্রাম পোর্ট বাংলাদেশের পোর্ট। চট্টগ্রাম পোর্ট আমাদের সম্পত্তি। এটা আমাদের কাছেই থাকবে। আমরা সামনের দিকে যেতে চাই। আমরা পোর্টকে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে যেতে চাই। যদি কেউ অন্যভাবে প্রোপাগান্ডা করে থাকে, আমি আশা করব দেশের স্বার্থে এ ধরনের প্রোপাগান্ডা যেন না করে।
উপদেষ্টা বলেন, এনসিটি নিয়ে আপনারা বহু আলোচনা শুনেছেন। আমিও এখানে টেকওভার করার পর থেকে আলোচনাগুলো শুনছি। ১৭-১৮ বছর যারা এনসিটিতে ছিলেন আমি বলবো যে ভালো কাজই করেছেন। খারাপ করেননি। তারা তাদের মতো কাজ করেছেন, কিন্তু তাদের থেকে আরও বেশি দক্ষতা দেখানোর জন্য আমরা উদ্যোগ নিয়েছি।
তিনি বলেন, এখানে যে কনটেইনার লোড হচ্ছে তা সিঙ্গাপুর যাবে। ট্রান্সশিপমেন্ট হবে। সিঙ্গাপুরে বেশিরভাগ পোর্টই প্রাইভেটলি পরিচালনা হচ্ছে। আমাদের যদি ইফিশিয়েন্সি বাড়াতে হয় তাহলে বাইরের টেকনোলজিস আনতে হবে। একটা পোর্ট তখনি আন্তর্জাতিক অঙ্গনে প্রবেশ করবে যখন একটা আন্তর্জাতিক অপারেটর আসবে।
উপদেষ্টা একই সময়ে বন্দরে আন্তর্জাতিক মানের কেমিক্যাল শেড উদ্বোধন করেন। সেসময় চট্টগ্রাম বন্দরের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল এস এম মনিরুজ্জামান, চট্টগ্রাম নৌ অঞ্চলের কমান্ডার রিয়ার এডমিরাল মীর এরশাদ আলী সহ নৌ বাহিনী এবং বন্দরের শীর্ষকর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.