চিন্ময় অনুসারী ডা. কথক তিনদিনের রিমান্ডে
নগরীর হাজারি গলিতে যৌথবাহিনীর ওপর হামলার ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলায় ইসকন নেতা চিন্ময়ের অনুসারী ডা. কথক দাশের তিনদিনের রিমান্ডের মঞ্জুর করেছেন আদালত। আজ সোমবার দুপুরে চট্টগ্রামের ৬ষ্ঠ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক কাজী শরিফুল ইসলাম এ আদেশ দিয়েছেন।
চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালতের সহকারী সরকারি কৌঁসুলি (এপিপি) অ্যাডভোকেট মো. রায়হানুল ওয়াজেদ চৌধুরী জানান, হাজারী গলিতে ইসকনকে নিয়ে দেওয়া ফেসবুক পোস্টকে কেন্দ্র করে যৌথবাহিনীর উপর হামলার ঘটনায় হওয়া মামলায় ডা. কথক দাশের ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা। শুনানি শেষে বিজ্ঞ আদালত ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন।’
আদালত সূত্রে জানা যায়, হাজারি গলির মিয়া শপিং সেন্টার নামের একটি মার্কেটের একটি দোকানের মালিক ওসমান মোল্লা ফেসবুকে হিন্দুদের ধর্মীয় সংগঠন ইসকনকে নিয়ে ‘ব্যাঙ্গাত্মক’ পোস্ট করেন। এ পোস্টকে কেন্দ্র করে গত বছরের ৫ নভেম্বর স্থানীয় সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। পরে বিক্ষুব্ধরা রাতে দল বেঁধে মার্কেটের সামনে জড়ো হয়ে দোকানটি ঘিরে ফেলে। পরে পুলিশ গিয়ে পোস্টদাতা ওসমানকে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে সনাতন সম্প্রদায়ের লোকজন উত্তেজিত হয়ে পড়েন। বিক্ষুব্ধরা সে সময় যৌথবাহিনীর সদস্যদের দিকে ইট-পাটকেল ছুঁড়ে মারে এবং উপর থেকে অ্যাসিডও নিক্ষেপ করা হয়।
এ ঘটনায় পরদিন রাতে কোতোয়ালী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মিজানুর রহমান বাদী হয়ে ৪৯ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতনামা আরো ৫০০ থেকে ৬০০ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন।
এ মামলায় গত ৫ ফেব্রুয়ারি বিকেলে যুক্তরাজ্যে যাবার জন্য ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে উপস্থিত হলে তাকে গ্রেপ্তার করে ইমিগ্রেশন পুলিশ। এরপর তাকে বিমানবন্দর থানায় হস্তান্তর করা হয়। পরদিন ৬ ফেব্রুয়ারি ওই চিকিৎসককে পুলিশ আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করে। শুনানি শেষে আদালত সে সময় দুদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
গ্রেপ্তার ডা. কথক দাশ (৪০) একজন চক্ষু বিশেষজ্ঞ। তিনি লায়ন্স দাতব্য চক্ষু হাসপাতালের মাইক্রো, লেজার ও ফ্যাকো সার্জন এবং বাংলাদেশ আই হসপিটালের কনসালটেন্ট। এ ছাড়া সনাতন ধর্মীয় বিভিন্ন সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত। একই রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় কারাগারে থাকা ইসকনের সাবেক সংগঠক চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের অনুসারী হিসেবেও তিনি পরিচিত।
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.