তবলা সন্ধ্যায় দর্শক-শ্রোতারা ডুবে গিয়েছিলেন সুরের আবেশে
রেওয়াজের ২৮ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন
মাধুর্যে ভরা এক মনোমুগ্ধকর সন্ধ্যা উপহার দিয়েছে তবলা শিল্পীরা। এই অনবদ্য আয়োজনের মূল পরিকল্পনা ও পরিচালনায় ছিলেন, রেওয়াজ তবলা শিক্ষা কেন্দ্র’র পরিচালক সুদীপ সেনগুপ্ত। তাঁর সূক্ষ্ম পরিকল্পনা, নিখুঁত পরিচালনা, এবং সংগীতের প্রতি গভীর ভালোবাসার কারণে এই অনুষ্ঠানটি এক অনন্য মাত্রা পেয়েছে।
শাস্ত্রীয় তবলাবাদন-এর প্রচার ও প্রসারের লক্ষ্যে ‘রেওয়াজ’ তবলা শিক্ষাকেন্দ্র প্রতিবছরের ন্যায় এবারও এই বার্ষিক শাস্ত্রীয় সংগীতানুষ্ঠানের আয়োজন করেছে। আজ বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম মহানগরীর থিয়েটার ইনস্টিটিউটে বিশিষ্ট উচ্চাঙ্গ সংগীত শিল্পী ও সংগীত গুরু পণ্ডিত জহর মুখার্জির মঙ্গল প্রদীপ প্রজ্বলনের মাধ্যমে অনুষ্ঠাানের সূচনা হয়। অনুষ্ঠানের আরেকটি বিশেষত্ব ছিল তবলা নির্বাচনে অসাধারণ রুচিশীলতা। এখানে পরিবেশিত প্রতিটি শিল্পীর বাজানো ছিল দর্শকদের মনের সঙ্গে গভীরভাবে মিশে যাওয়ার মতো, যা কখনো হারিয়ে যাবে না।
শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন, রেওয়াজ তবলা শিক্ষা কেন্দ্র’র পরিচালক সুদীপ সেনগুপ্ত। তিনি বলেন, বলেন, রেওয়াজ তবলা শিক্ষা কেন্দ্র সবসময় চায় দেশের সঙ্গীত চর্চার উন্নয়ন। সেই ধারবাহিকতায় দেশের শাস্ত্রীয় সঙ্গীত চর্চার সঙ্গে জড়িতদের উৎসাহিত করা এবং শিল্পীদের মধ্যে ভাব ও অভিজ্ঞতা বিনিময়ের জন্য আমাদের এই আয়োজন। তবলা খুব কম মানুষ চর্চা করে, তাদের মধ্যে নারী শিল্পীদের সংখ্যা আরও কম। আজকের এই মুগ্ধতা আমাদের মনে অনেক দিন গেঁথে থাকবে।
প্রবীর পালের সঞ্চালনায় আমন্ত্রিত শিল্পী হিসেবে সংগীত পরিবেশন করেন মিতালী রায়, আশীষ বসাক, রিতা চৌধুরী। হারমোনিয়াম সহযোগিতায় ছিলেন, পৃথ্বিরাজ সাহা। তবলা সহযোগিতায় ঝিল মজুমদার, অরিজিৎ চৌধুরী, জিৎ চৌধুরী।
তবলা সন্ধ্যায় উপস্থিত দর্শক-শ্রোতারা শিক্ষার্থীদের বৃন্দ পরিবেশনায় ডুবে গিয়েছিলেন মোহনীয় আবেশে। চট্টগ্রামের সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডলে এটি এক ব্যতিক্রমী আয়োজন, যেখানে তবলার লয় ও তালে মুগ্ধ হয়েছেন উপস্থিত সবাই। অনুষ্ঠানটিকে প্রাণবন্ত করে তুলেছিল বিশেষ দর্শকসমাজ।
সংগীতের এই মিলনমেলায় উপস্থিত ছিলেন দেশের খ্যাতনামা সংগীতশিল্পী, সাংবাদিক, গবেষক, টেলিভিশন উপস্থাপকসহ নানা শ্রেণি-পেশার সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব। তারা শুধু দর্শক হিসেবেই ছিলেন না, বরং পুরো আয়োজনের সৌন্দর্য ও আবেগকে আরও বর্ণিল করে তুলেছিলেন। প্রত্যেকেই ছিলেন সংগীতপ্রেমী, যারা প্রাণভরে উপভোগ করেছেন শিল্পীদের অসাধারণ পরিবেশনা।অনুষ্ঠানে আগত শ্রোতারা শিল্পীদের তবলা সঙ্গতে ডুবে যান সুরের অমোঘ জাদুতে।মন্ত্রমুগ্ধের মতো তারা ভেসে যান এক অন্য জগতে। সবমিলিয়ে রেওয়াজের ২৮ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী স্মরণীয় হয়ে থাকলো।
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.