কোটা আন্দোলন: সহিংসতায় প্রাণহানির বিচার বিভাগীয় তদন্ত হবে

১১

কোটা সংস্কার আন্দোলনে হত্যাকাণ্ডের ঘটনার নিন্দা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বুধবার (১৭ জুলাই) সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশে দেয়া ভাষণে এই নিন্দা জানান তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আপনজন হারানোর কষ্ট আমার চেয়ে আর কে জানে। অহেতুক কতগুলো মূল্যবান জীবন ঝরে গেল। আমি এই হত্যাকাণ্ডের নিন্দা জানাই। যা ঘটেছে তা কাম্য ছিল না।

শেখ হাসিনা বলেন, কোটা সংস্কার আন্দোলনের শুরু থেকেই সরকার ধৈর্যের সঙ্গে মোকাবিলা করেছে। ছাত্রদের নিরাপত্তায় পুলিশ সহযোগিতা করেছে। স্মারকলিপি দিতে ছাত্রদের সুযোগ করে দেয়া হয়।

তিনি বলেন, কিন্তু পরিতাপের বিষয় হলো, কিছু মহল আন্দোলনের সুযোগ নিয়ে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হয়। অহেতুক কতগুলো মূল্যবান জীবন ঝরে গেল। আপনজন হারানোর কষ্ট আমার চেয়ে আর কে জানে? আমি এ হত্যাকাণ্ডের নিন্দা জানাই। যা ঘটেছে তা কাম্য ছিল না। যারাই এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত তাদের উপযুক্ত শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে।

আন্দোলন ঘিরে হত্যাকাণ্ডের নিন্দা জানিয়ে সরকার প্রধান বলেন, ভবন থেকে ছাত্রদের নিচে ফেলে দেয়া হয়েছে। উপাচার্যদের বাসভবনে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুর করা হয়। মেয়েদের হলে আক্রমণ করা হয়, তারা লাঞ্ছিত হয়েছে। আমি বিশ্বাস করি যারা কোটা সংস্কার আন্দোলনের সঙ্গে জড়িত তাদের সঙ্গে সন্ত্রাসীদের কোনো সম্পর্ক নেই।

সন্ত্রাসীরা আন্দোলনের মধ্যে ঢুকে সংঘাত ও নৈরাজ্য পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, যারা জড়িত তাদের চিহ্নিত করে শাস্তির ব্যবস্থা নেয়া হবে। হত্যাকাণ্ডসহ যেসব অনভিপ্রেত ঘটনা ঘটেছে, এ নিয়ে বিচার বিভাগীয় তদন্ত করা হবে।

কোটা আন্দোলন ঘিরে নিহতদের পরিবারের জীবন জীবিকার জন্য যে ধরনের সহযোগিতা দরকার, তা করা হবে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এ ঘটনায় সন্ত্রাসী যেই হোক না তারা যেন উপযুক্ত শাস্তি পায় সেই ব্যবস্থা নেয়া হবে।

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.