স্ত্রী হত্যা মামলায় স্বামীর মৃত্যুদণ্ড সাজা

১১

নগরীর বাকলিয়ায় স্ত্রী হত্যা মামলায় স্বামীর মৃত্যুদণ্ড সাজা হয়েছে।একই সঙ্গে তাকে ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়। দণ্ডিতে নাম মো. জামালকে (৩৫)

বুধবার (৩ জুলাই) চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক ড. বেগম জেবুন্নেছা বেগম এ রায় দেন। দণ্ডপ্রাপ্ত মো. জামাল কুমিল্লা জেলার মুরাদনগর থানার মুসাগারা এলাকার মৃত জোনাব আলীর ছেলে।

আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) অ্যাডভোকেট মো. আব্দুর রশীদ বলেন, মোট ১৪ জনের সাক্ষীপ্রমাণের ভিত্তিতে আসামি জামাল উদ্দিন তার স্ত্রী পারভিন আক্তারকে হত্যার অভিযোগ ৩০২ ধারায় সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় আদালত তাকে মৃত্যুদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত করেছেন।

আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১৭ সালে ভিকটিম পারভীন আক্তারের সাথে বিয়ে হয় জনৈক মনা মিয়ার। বিয়ের তিন বছরের মাথায় তাদের বিচ্ছেদ হয়। পরে আসামি জামালের সাথে বিয়ে হয় পারভীন আক্তারের। ২০২২ সালের ১৭ জানুয়ারি বিকেল ৩টার দিকে মুঠোফোনে ভিকটিমের বোন বেবী আক্তার খবর পান পারভীন মারা গেছেন। পরে বেবী আক্তার মর্গে রাখা লাশে আঘাতের চিহ্ন দেখতে পান। বিভিন্ন সময় জামাল তার স্ত্রী পারভীনকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করতো। ঘটনার আগের দিন সকালেও তাদের মধ্যে ঝগড়া হয়। প্রায়ই ঝগড়া হওয়ায় ওই বাসার মালিক তাদের বাসা ছেড়ে দিতে বলে। ঘটনার দিন অর্থাৎ ১৭ জানুয়ারি সন্ধ্যায় বাসার মালিক নতুন ভাড়াটিয়াকে বাসা দেখানোর জন্য গেলে দরজার বাইরে হুক লাগানো দেখতে পায়। ডাকাডাকি করেও কোনো সাড়াশব্দ না পাওয়ায় তিনি ঘরের ভিতরে ঢুকে দেখেন পারভীন আক্তারের মরদেহ চৌকির উপর কম্বল দিয়ে ঢেকে রাখা হয়েছে এবং তার স্বামী ঘরে নেই। সঙ্গে সঙ্গে জরুরি সেবা ৯৯৯-এ ফোন করে থানা পুলিশকে জানায় বাড়ির মালিক। পরবর্তীতে ওই বছরের ১৮ জানুয়ারি পারভীন আক্তারের বোন বেবি আক্তার বাদী হয়ে জামালকে আসামি করে বাকলিয়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.