চান্দগাঁও থানা হাজতে আসামির মৃত্যু

২১

গ্রেপ্তারের ৬ ঘন্টার মধ্যে থানা হাজতে মো. জুয়েল (২২) নামে এক আসামির মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে।

বুধবার (৩ জুলাই) ভোর ৬টার দিকে নগরীর চান্দগাঁও থানায় এ ঘটনা ঘটে। তবে পুলিশের ধারণা জুয়েল আত্মহত্যা করেছে। সে চান্দগাঁও খেজুরতলা এলাকার মৃত আব্দুল মালেক প্রকাশ আব্দুল মাবুদের ছেলে। ডাকাতি ও ছিনতায় মামলায় রুবেলকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।

চান্দগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদুল কবির বলেন, ‘আসামি জুয়েলকে মঙ্গলবার (২ জুলাই) দিবাগত রাত ১২টা ২৫ মিনিটের দিকে নগরের কোতোয়ালী থানার পাথরঘাটা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।তার বিরুদ্ধে কোতোয়ালী থানায় ডাকাতির প্রস্তুতি এবং অস্ত্র আইনে মোট ৭টি মামলা রয়েছে।

তিনি বলেন, সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায় আসামি মো. জুয়েল নিজের পরনের শার্ট খুলে হাজতের ভেতরের দেয়ালের উপরের ভেন্টিলেটরের সাথে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। তার বিরুদ্ধে কোতোয়ালী থানায় ডাকাতির প্রস্তুতি এবং অস্ত্র আইনে মোট ৭টি মামলা রয়েছে। এ ঘটনায় আমরা জিডি করেছি। ম্যাজিস্ট্রেট এসে সুরতহাল করে লাশের পোস্টমর্টেমের জন্য মেডিকেলে পাঠানো হয়েছে।

এদিকে থানার হাজতে আসামির মৃত্যুর ঘটনায় ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি করেছে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি)। তদন্ত কমিটির ৩ সদস্য হলেন, সিএমপির উত্তর বিভাগের অতিরিক্ত উপ পুলিশ কমিশনার (এডিসি) মো. জাহাঙ্গীর, পাচঁলাইশ জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) মো. আরিফ হোসেন ও পাঁচলাইশ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সন্তোষ কুমার চাকমা।

বুধবার সিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের অতিরিক্ত উপ পুলিশ কমিশনার (এডিসি) কাজী মো. তারেক আজিজ এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.