টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতার প্রতি শ্রদ্ধা সিডিএ চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ইউনুছের

৫০

টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মাজার জিয়ারত করেছেন চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (চউক) চেয়ারম্যান বীরমুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ ইউনুছ।

শুক্রবার (১৭ মে) টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতার কবর জিয়ারতের পর বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষ্যে দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। মুনাজাত পরিচালনা করেন মাওলানা নওয়াব আলী। এর আগে শুক্রবার ভোর থেকে জাতির পিতার সমাধি কমপ্লেক্সে খতমে কোরআন এর আয়োজন করা হয়।

দায়িত্ব গ্রহণের পর এটিই চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (চউক) চেয়ারম্যানের প্রথম টুঙ্গিপাড়া সফর। তাঁর সফরসঙ্গী ছিলেন চট্টগ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা, চউক কর্মকর্তা, মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তান, শহীদ পরিবারের সদস্য, আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ নেতা, সাংবাদিক ও শুভাকাঙ্ক্ষীরা।

জাতির পিতার কবর জিয়ারত ও পুষ্পস্তবক অর্পন শেষে চউক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ইউনুছ বলেন, “হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম না হলে পৃথিবীর মানচিত্রে বাংলাদেশ নামক দেশটি সৃষ্টি হতো না। এ অঞ্চলের মানুষের জীবন মানের কোনো উন্নয়ন হতো না। অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর ছেলেমেয়েরা কখনোই উচ্চ শিক্ষার সুযোগ পেত না। বঙ্গবন্ধুর জীবনদর্শন ও আদর্শ ধারণ করে আমরা স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের নতুন প্রজন্মকে প্রস্তুত করতে চাই। বঙ্গবন্ধুর ডাকে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছিলাম। বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিবাদে প্রতিরোধ লড়াইযে শামিল হয়েছিলাম। আজও ষড়যন্ত্রকারীরা তৎপর, তাদের সকল চক্রান্ত নসাৎ করতে বঙ্গবন্ধু কন্যার হাতকে শক্তিশালী করতে হবে। জাতির পিতার কন্যা আমাকে ভালোবেসে যে দায়িত্ব দিয়েছেন তা শতভাগ শততার সাথে পালন করতে চাই। চট্টগ্রামকে একটি পরিকল্পিত বাসযোগ্য নগরীতে পরিণত করে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মানে জননেত্রী শেখ হাসিনার লক্ষ্য পূরণে একজন কর্মী হিসেবে নিজের সর্বোচ্চ দিয়ে সচেষ্ট থাকবো।”

জাতির পিতার সমাধিতে শ্রদ্ধা জানানোর সময় উপস্থিত ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. শাহ আলম, নৌকমান্ডো আনোয়ার মিয়া, সিডিএর প্রধান প্রকৌশলী কাজী হাসান বিন শামস, সচিব মিনহাজুর রহমান, উপ সচিব অমল গুহ, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী এএমএম হাবিবুর রহমান, নির্বাহী প্রকৌশলী মনজুর হাসান, এজিএম সেলিম, আশরাফুল ইসলাম, মোহাম্মদ ইলিয়াস, আ হ ম মেসবাহ উদ্দিন, আবু ঈছা আনসারী, মাহফুজুর রহমান, মোহাম্মদ শামিম, রাজীব দাশ, মোহাম্মদ হাসান, তানজীব হোসেন, জহির আহমদ, হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা মোহাম্মদ নাজের, সাদেকুর রহমান, মোহাম্মদ হামিদুল হক, মোহাম্মদ জমির, আবদুল হান্নান, চট্টগ্রাম মহানগর যুবলীগের সহসভাপতি হেলাল উদ্দিন, মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নুরুল আজিম রণি, যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মনোয়ারুল ইসলাম নোবেল, মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ড মহানগর শাখার সাধারণ সম্পাদক কাজী রাজিশ ইমরান প্রমুখ।

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.