এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী

৮৮

রাজধানী ঢাকার পর বন্দরনগরী চট্টগ্রামে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর মাধ্যমে দেশব্যাপী যোগাযোগ অবকাঠামো নির্মাণের আরেকটি বড় অর্জনের সাক্ষী হলো বাংলাদেশ। মেয়র মহিউদ্দিন চৌধুরী সিডিএ এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্পটি কয়েকটি কারণে অনন্য। যানজট নিরসনে নেওয়া প্রকল্পটি শতভাগ সরকারি অর্থে বাস্তবায়িত হয়েছে।

এর আগে মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) সকাল ১১টায় গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ‘মেয়র মহিউদ্দিন চৌধুরী-সিডিএ ফ্লাইওভার’ নামে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্পের উদ্বোধন করেন। এর মধ্য দিয়ে বন্দরনগরী চট্টগ্রাম টানেলের পর এক্সপ্রেসওয়ের যুগে প্রবেশ করলো।

উদ্বোধন উপলক্ষে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের পতেঙ্গা প্রান্তের প্রবেশমুখে প্রায় এক হাজার মানুষের সমাবেশের আয়োজন করে প্রকল্প বাস্তবায়নকারী সংস্থা চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ)।

উদ্বোধনের আগে দেওয়া বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আজ আমি খুব আনন্দিত। সারাদেশে ২৪টি মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন করা ১৫৭টি প্রকল্পের ১০ হাজার ৪১টি অবকাঠামো একসঙ্গে উদ্বোধন হচ্ছে। আমরা একটি উন্নয়নশীল দেশ। উন্নয়নের রোল মডেল। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশকে অর্থনৈতিক মুক্তি দিতে চেয়েছিলেন। ১৯ মহকুমাকে তিনি জেলায় পরিণিত করেছেন। সারাজীবন তিনি দেশের মানুষের জন্য লড়াই করে গেছেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমার পুরো পরিবারকে হত্যার পর একাত্তরের যুদ্ধাপরাধীরা ক্ষমতায় বসেছে। প্রধানমন্ত্রীও হয়েছে। তারা যখন ক্ষমতায় তখন আমি দেশে আছি। ভয়কে প্রশ্রয় দেয়নি। এরপর অনেক লড়াই সংগ্রাম করেছি। মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করার জন্য দীর্ঘ সংগ্রামের পথ পাড়ি দিতে হয়েছে। এ পথ মসৃণ ছিল না। গ্রেনেড হামলা হয়েছে, মিথ্যা অপবাদ দেওয়া হয়েছে। আমার লক্ষ্য স্থির ছিল। তাই ক্ষমতায় এসে দেশকে আজ এ জায়গায় আনতে পেরেছি। এ সরকার যা যা প্রকল্প হাতে নিয়েছে বেশকিছু আগেই উদ্বোধন করা হয়েছে। বাকি যেগুলো আছে সেগুলোও উদ্বোধন করে গেলাম। দেশের মানুষ চাইলে আবার ক্ষমতায় এসে দেশকে আরও উন্নত করব।’

এদিকে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের নির্মাণকাজ করা দেশের শীর্ষ নির্মাণ প্রতিষ্ঠান ম্যাক্স ইনফ্রাস্ট্রাকচারের চেয়ারম্যান চেয়ারম্যান জানান, এই অবকাঠামোর পরিকল্পনা, নকশা প্রণয়ন, অর্থায়ন এবং সামগ্রিক বাস্তবায়ন বাংলাদেশ করেছে এককভাবে। এর স্থপতি, প্রকৌশলী, শ্রমিক, নির্মাণ উপকরণ—সব বাংলাদেশের। ফলে সত্যিকার অর্থে এটি একটি ‘মেড ইন বাংলাদেশ’ প্রকল্প।

আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, এটি এখন পর্যন্ত দেশের সবচেয়ে দীর্ঘ এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে এবং নির্মিত হয়েছে সবচেয়ে কম সময়ে। রাজধানীতে চালু হওয়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েটির দৈর্ঘ্য এখন সাড়ে ১১ কিলোমিটার। আর এটি নির্মাণে বিদেশি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সময় লেগেছে ১২ থেকে ১৩ বছর। সেখানে জমি পেতে কিছু সময় লেগেছিল সত্যি। এর বাকি অংশের কাজ এখনো চলমান।

আর নির্মাণ শেষ হওয়া চট্টগ্রামের এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের দৈর্ঘ্য ১৪ কিলোমিটার। এই অংশ নির্মাণে সময় লেগেছে চার বছর ৯ মাস। এর কিছু কাজ এখনো চলমান।

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.