সীমার সান্টু গ্রেপ্তার: শিপইয়ার্ড ও অক্সিজেন প্ল্যান্ট বন্ধ ঘোষণা
সীমা অক্সিজেন প্ল্যান্টের মালিক পারভেজ উদ্দিন সান্টুর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের ও গ্রেপ্তারের নামে সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার প্রতিবাদে সব শিপইয়ার্ড ও অক্সিজেন প্ল্যান্ট অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ শিপ ব্রেকার্স অ্যান্ড রিসাইক্লার্স এসোসিয়েশন। একইসাথে আগামী শনিবার (১৮ মার্চ) বেলা এগারোটায় চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধনের ঘোষণাও দেয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৬ মার্চ) বিকেলে বাংলাদেশ শিপ ব্রেকার্স অ্যান্ড রিসাইক্লার্স এসোসিয়েশন আয়োজিত এক প্রতিবাদ সভায় এসব কথা জানান নেতারা। এসময় উপস্থিত ছিলেন সংগঠনটির সভাপতি মো. আবু তাহের, সহ-সভাপতি জহিরুল ইসলাম রিংকু, সদস্য মাস্টার আবুল কাশেম, লিয়াকত আলী চৌধুরী, শিপইয়ার্ড ব্যবসায়ী মোহাম্মদ ইমরান প্রমুখ।
সভায় বলা হয়, পারভেজ উদ্দিন সান্টুকে ব্ল্যাকমেইল করে আটক করা হয়েছে। তিনি সব ধরণের ক্ষতিপূরণ দিয়েছেন এবং যিনি তার বিরুদ্ধে মামলা করেছেন তিনি ১০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ পেয়েছেন। এমনকি ওই নারী মামলা প্রত্যাহার করতেও রাজি আছেন।
লিয়াকত আলী চৌধুরীর সঞ্চালনায় মাস্টার আবুল কাশেম বলেন, আগামীকাল থেকে আমাদের সবগুলো ইয়ার্ড ও অক্সিজেন প্ল্যান্ট বন্ধ ঘোষণা করা হলো। আমরা পারভেজ উদ্দিন সান্টুকে গ্রেপ্তারের তীব্র নিন্দা জানাই এবং তার কোমরে দড়ি বেঁধে আদালতে তোলার ঘটনাকে ধিক্কার জানাই। যে বা যারা এটি করেছেন তাদেরকে কঠিন শাস্তির মুখোমুখি করতে হবে। আমাদের কাছে অনেকে ক্ষমা চাচ্ছেন কিন্তু ক্ষমা চাইলে লাভ হবে কি। সম্মান যা চলে যাওয়ার তা গেছে। এভাবে একজন প্রতিষ্ঠিত শিল্পপতিকে হেয় প্রতিপন্ন করা অত্যন্ত জঘন্য কাজ হয়েছে। আগামী শনিবার বেলা এগারোটায় চট্টগ্রামে আমাদের মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হবে। সেখানে সব শিপইয়ার্ড ব্যবসায়ী উপস্থিত থাকবেন।
তিনি আরও বলেন, পারভেজ উদ্দিন সান্টুকে ব্ল্যাকমেইল করে আটক করা হয়েছে। তিনি সব ধরণের ক্ষতিপূরণ দিয়েছেন এবং যিনি তার বিরুদ্ধে মামলা করেছেন তিনি ১০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ পেয়েছেন। এমনকি ওই নারী মামলা প্রত্যাহার করতেও রাজি আছেন। তবুও ব্ল্যাকমেইল করে সান্টুকে আটক করা হয়েছে। এটি খুবই জঘন্য কাজ হয়েছে।
সভায় সংগঠনটির সভাপতি মো. আবু তাহেরও একই কথা বলেন।
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.