বাঁশখালীতে ১১ জনকে পুড়িয়ে হত্যা: পুলিশসহ ৩৪ সাক্ষীর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা
২০০৩ সালে বাঁশখালী থানার সাধনপুর ইউনিয়নে ১১ জনকে পুড়িয়ে হত্যার ঘটনায় মামলায় সাক্ষী দিতে না আসায় মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশ সদস্য, চিকিৎসকসহ ৩৪ সাক্ষীর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।
রোববার (১২ ফেব্রুয়ারি) চট্টগ্রামের তৃতীয় অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ এইচ এম শফিকুল ইসলামের আদালতে মামলাটি সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য ধার্য ছিল।
তবে এদিন কোনো সাক্ষী না আসায় তাদের বিরুদ্ধে এই পরোয়ানা জারি করেন আদালত। চট্টগ্রাম জেলা পিপি এডভোকেট শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, ২০০৩ সালে বাঁশখালীতে ১১ জনকে পুড়িয়ে হত্যার ঘটনায় চাঞ্চল্যকর মামলায় ৫৭ জন সাক্ষীর মধ্যে বাদিসহ ২৩ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে। রোববার মামলাটি সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য ধার্য ছিল। কিন্তু কোনো সাক্ষী না আসায় মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশ সদস্য, চিকিৎসকসহ ৩৪ জন সাক্ষীর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত। সাক্ষীকে আদালতে হাজির করার জন্য চট্টগ্রাম জেলার পুলিশ সুপারকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আদালত আগামী ৬ মার্চ সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণের সময় নির্ধারণ করেন।
২০০৩ সালের ১৮ নভেম্বর রাতে বাঁশখালীর সাধনপুর ইউনিয়নের শীলপাড়ায় তেজেন্দ্র লাল শীলের বাড়িতে একই পরিবারের ১১ জনকে পুড়িয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। ওই ঘটনায় নির্মমভাবে পুড়ে মারা যাওয়ারা হলেন, তেজেন্দ্র লাল শীল (৭০), তার স্ত্রী বকুল বালা শীল (৬০), ছেলে অনিল কান্তি শীল (৪২) ও তার স্ত্রী স্মৃতি রাণী শীল (৩০), তাদের মেয়ে মুনিয়া শীল (৭) ও রুমি শীল (১১), চারদিন বয়সী শিশু কার্তিক শীল, তেজেন্দ্রর ছোট ভাইয়ের মেয়ে বাবুটি শীল (২৫), প্রসাদী শীল (১৭), অ্যানি শীল (১৫) এবং তেজেন্দ্রর বেয়াই দেবেন্দ্র শীল (৭৫)।
এ ঘটনায় কয়েক দফা অভিযোগপত্র দাখিল, বাদীর নারাজিসহ নানা নাটকীয়তার পর ২০১২ সালের ১৯ এপ্রিল ৩৮ আসামির বিরুদ্ধে সম্পত্তি দখল করতে গিয়ে পরিকল্পিত হত্যাকান্ডের ধারায় অভিযোগ গঠন করেন আদালত। এরপর আদালতে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়।
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.