এইচএসসি: মহসিন কলেজ সেরা

জিপিএ ৫ পেয়েছে ১ হাজার ৩৩৪ জন

২৬৭

২০২২ সালের চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের অধীনে অনুষ্ঠিত উচ্চ মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এইচএসসি) পরীক্ষায় এবার কমেছে জিপিএ-৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীর সংখ্যা ও পাসের হার। এবারের পরীক্ষায় পাসের হার ৮০ দশমিক ৫০ শতাংশ। যা গতবার ছিল ৮৯ দশমিক ৩৯ শতাংশ। এবার জিপিএ-৫ পেয়েছে ১২ হাজার ৬৭০ জন, এর মধ্যে ৫ হাজার ৫৬৪ জন ছাত্র এবং ৭ হাজার ১০৬ জন ছাত্রী। যা গতবার ছিল ১৩ হাজার ৭২০ জন। শিক্ষাবোর্ডের তথ্য অনুযায়ী, এবারের এইচএসসি পরীক্ষায় ২৬৭টি কলেজের ৯৩ হাজার ৯৯৭ জন ছাত্র-ছাত্রী অংশ নেয়। এদের মধ্যে পাস করেছে ৭৫ হাজার ৩২ জন। দুপুরে ফলাফল প্রকাশের পর বিভিন্ন কলেজে শিক্ষার্থীরা আনন্দ উল্লাসে মেতে ওঠেন।

এ বছর জিপিএ-৫ প্রাপ্তির দিক থেকে পরপর দুই বছর চট্টগ্রাম কলেজকে টপকিয়ে সেরাদের সেরায় জায়গা করে নিয়েছে সরকারি হাজী মোহাম্মদ মহসিন কলেজ। প্রতিবার যেখানে জিপিএ ৫ এর দিকে চট্টগ্রাম কলেজ এগিয়ে থাকে সেই জায়গায় নিজেদের শক্ত অবস্থান পাকাপোক্ত করে নেয় মহসিন কলেজ।

চট্টগ্রাম বোর্ডে সেরা দশের তালিকায় রয়েছে যেসব কলেজ
সরকারি হাজী মোহাম্মদ মহসিন কলেজ: শতভাগ পাস না করলেও এবার জিপিএ-৫ প্রাপ্তির দিক থেকে সেরা দশের তালিকার শীর্ষে সরকারি হাজী মোহাম্মদ মহসিন কলেজ। এ কলেজ থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে ১ হাজার ৬৬৭ জন শিক্ষার্থী। ৯৯ দশমিক শূন্য চার শতাংশ পাস করে জিপিএ ৫ পেয়েছে ১ হাজার ৩৩৪ জন। গতবার যেখানে পেয়েছিল ১ হাজার ২৮৫ জন।

চট্টগ্রাম সরকারি সিটি কলেজ: জিপিএ-৫ প্রাপ্তির দিক থেকে দ্বিতীয় অবস্থানে আছে সরকারি এই কলেজটি। গতবারেরও জিপিএ-৫ এর দিক থেকে দ্বিতীয় অবস্থানে ছিল এই কলেজ। এবার ১ হাজার ৯৭১ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিয়ে ৯৭ দশমিক ৮৭ শতাংশ পাস করে জিপিএ ৫ পেয়েছে ১ হাজার ১৬৯ জন।

চট্টগ্রাম কলেজ: প্রতিবার শতভাগ পাস এবং জিপিএ-৫ প্রাপ্তির দিক থেকে প্রথম অবস্থানে থাকা চট্টগ্রাম কলেজ পরপর দুই বছর তৃতীয় অবস্থানে। এবারও তৃতীয় অবস্থানে থেকে জিপিএ ৫ পেয়েছে ৮৬০ জন। গতবার যেখানে ছিল ৯২৮ জন শিক্ষার্থী। এবারও শতভাগ পাস করতে পারেনি এই কলেজের শিক্ষার্থীরা। এবার এ কলেজের ১ হাজার ১১ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেয়। পাস করে ৯৯ দশমিক ৮০ শতাংশ শিক্ষার্থী।

চট্টগ্রাম সরকারি মহিলা কলেজ: গতবার পঞ্চম অবস্থানে থাকলেও জিপিএ-৫ এর দিক থেকে এবার চতুর্থ অবস্থানে চট্টগ্রাম সরকারি মহিলা কলেজ। এ কলেজ থেকে পরীক্ষায় অংশ নেয় ১ হাজার ২৮৪ জন। ৯৮ দশমিক ৮৩ শতাংশ পাস করে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৭৬১ জন। যেখানে গতবার পেয়েছিল ৮০৭ জন শিক্ষার্থী।

সরকারি কর্মাস কলেজ: এবার জিপিএ ৫ এর দিকে পঞ্চম অবস্থানে রয়েছে সরকারি কমার্স কলেজ। এ কলেজের ৮৭৩ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিয়ে পাস করে ৮৭১ জন। যা ৯৯ দশমিক ৭৭ শতাংশ। তারমধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৬৯৪ জন।

চট্টগ্রাম ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক কলেজ: ৬৩৬ জন শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেয়ে ষষ্ঠ অবস্থানে রয়েছে চট্টগ্রাম ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক কলেজ। তাদের ১ হাজার ৬ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিয়ে পাস করে ১ হাজার ১ জন যা শতকরায় ৯৯ দশমিক ৫০ শতাংশ।

হাজেরা তজু ডিগ্রি কলেজ: জিপিএ ৫ এর থেকে রয়েছে সপ্তম অবস্থানে এই কলেজ। যদিও গতবার ছিল পঞ্চম অবস্থানে। তাদের ১ হাজার ৬৫২ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিয়ে পাস করেছে ১ হাজার ৬২৪ জন। যা ৯৮ দশমিক ৩১ শতাংশ এবং জিপিএ-৫ পেয়েছে ৫৬৪ জন। যেখানে গতবার পেয়েছিল ৮১১ জন শিক্ষার্থী।

বাকলিয়া সরকারি কলেজ: জিপিএ-৫ এর দিকে সেরা দশের অষ্টম অবস্থানে রয়েছে বাকলিয়া সরকারি কলেজের শিক্ষার্থীরা। এ কলেজ থেকে ১ হাজার ২৩৪ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিয়ে পাস করেছে ১ হাজার ২০৫ জন। যা শতকরায় ৯৭ দশমিক ৬৫ শতাংশ এবং জিপিএ-৫ পেয়েছে ৪৮৮ জন। গতবার জিপিএ-৫ পেয়েছিল ৪১৬ জন শিক্ষার্থী।

কক্সবাজার সরকারি কলেজ: জিপিএ ৫ প্রাপ্তির দিক থেকে নবম অবস্থানে জায়গা করে নিয়েছে কক্সবাজার সরকারি কলেজের শিক্ষার্থীরা। তাদের ১ হাজার ৭০ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিয়ে পাস করেছে ৯৭ দশমিক ৩৮ শতাংশ এবং জিপিএ-৫ পেয়েছে ৪১৬ শিক্ষার্থী। যদিও গতবার এই কলেজটি ছিল অষ্টম অবস্থানে। গতবার তাদের ৪৯৯ জন পরীক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেয়েছিল।

পটিয়া সরকারি কলেজ: জিপিএ-৫ এ দিক থেকে সেরা দশে রয়েছে পটিয়া সরকারি কলেজ। তাদের ১ হাজার ৮২ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিয়ে পাস করেছে ৮৮ দশমিক ৬৩

 

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.