দশম মৃত্যুবার্ষিকীতে আখতারুজ্জান বাবুর কবরে মানুষের ঢল

৩৮০

নানা কর্মসূচির মাধ্যমে স্মরণ করা হয় মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সাবেক প্রেসিডিয়াম সদস্য বর্ষীয়ান রাজনীতিক আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবুকে। দশম মৃত্যু বার্ষিকী শুক্রবার মরহুমের আনোয়ারা হাইলধরস্থ গ্রামের বাড়িতে পরিবারের পক্ষ থেকে খতমে কোরআন, মিলাদ মাহফিল ও পুষ্পমাল্য অর্পণসহ নানা কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়।

আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবুর বড় ছেলে ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ এমপি কর্মসূচিতে অংশ নেন। মৃত্যুবার্ষিকীর কর্মসূচিতে ঘিরে আখতারুজ্জান বাবুর কবরে ঢল নামে রাজনীতিবিদ থেকে শুরু করে বিভিন্নস্থরের মানুষের।

এতে চট্টগ্রামের মেয়র, আনোয়ারা উপজেলা পরিষদ, উপজেলা আওয়ামীলীগ, ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ, মহিলা আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, শ্রমিকলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, ছাত্রলীগসহ অঙ্গসংগঠন, বিভিন্ন সামাজিক ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে প্রথক পৃথক কর্মসূচি পালন করা হয়। আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবুর ১০ম মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষে আনোয়ারা-কর্ণফুলীতে শোকের তোরণ, ব্যানার, ফেস্টুন ও পোস্টার লাগিয়েছে দলের নেতাকর্মী।

আখতারুজ্জামান বাবু রাজনীতিক, শিল্পোদ্যোক্তা, সংগঠকসহ জীবনের নানা ক্ষেত্রে সফলতার পরিচয় দিয়েছেন। দীর্ঘ সময় ধরে ছিলেন দক্ষিণ জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি। আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ছাড়াও জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন চারবার। নবম জাতীয় সংসদে তিনি ছিলেন পাট বস্ত্র মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি।

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশরে মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী সকালে আখতারুজ্জাান চৌধুরী বাবু’র ১০ মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আনোয়ারা হাইলধর ইউনিয়নে তাঁর পারিবারিক কবরস্থানে ফুলেল শ্রদ্ধা নিবেদন, ফাতেহা পাঠ করে মরহুমের রুহের মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ মুনাজাত করেন।

শ্রদ্ধা নিবেদনকালে মেয়র বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের দুঃসময়ের রাজনৈতিক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় একজন পরীক্ষিত বঙ্গবন্ধুর আদর্শের দূর্জয় সৈনিক হিসেবে আখতারুজ্জান বাবু নিজেকের প্রতিষ্ঠিত করেন। তিনি মাটি ও মানুষের সাথে সম্পৃক্ত হয়ে তাদের সুখ-দুঃখের জীবন ধারার এক অবিচ্ছেদ হয়ে আছেন। সে কারণে তাঁর জন্মস্থান ও নির্বাচনী এলাকা আনোয়ার পটিয়া আসনের জনসাধারণের কাছে চির নন্দিত হয়ে আছেন।

এ সময় সিটি মেয়রের সাথে উপস্থিত ছিলেন-চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শফিক আদনান, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক শফিকুল ইসলাম ফারুক, আওয়ামী লীগ নেতা তৌহিদুল আনোয়ার, মহানগর যুবলীগের সাবেক যুগ্ম আহবায়ক ও আওয়ামী লীগ নেতা দেলোয়ার হোসেন খোকা, চসিক কাউন্সিলর হাসান মুরাদ বিপ্লব প্রমুখ।

উল্লেখ্য, ২০১২ সালের ৪ নভেম্বর আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবু ইন্তেকাল করেন। তাঁর মৃত্যুর পর ছেলে সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ একই আসন থেকে আওয়ামীলীগ প্রার্থী হিসেবে এমপি নির্বাচিত হন। বর্তমানে তিনি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সফল ভূমিমন্ত্রী হিসেবে সারা দেশে প্রসংশিত হয়েছে। মেজ ছেলে আনিসুজ্জামান চৌধুরী রনি দক্ষিণ জেলা আওয়ামীলীগের শিল্প ও বানিজ্য সম্পাদকের দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি ইউনাইটেড কর্মাশিয়াল ব্যাংকের ইসির চেয়ারম্যানসহ সফল শিল্পোদোক্তা হিসেবে পরিচিতি লাভ করেন। ছোট ছেলে আসিফুজ্জামান চৌধুরী জিমি ইউনাইটেড কর্মাশিয়াল ব্যাংক ও জামান গ্রুপের পরিচালকের দায়িত্বে রয়েছেন।

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.