গণহত্যার বিচার ও নিরাপদ প্রত্যাবাসন দাবী রোহিঙ্গাদের

১৮৫

নিজ দেশ মিয়ানমারে ২০১৭ সালে সংঘটিত গণহত্যার বিচার দাবি ও পূর্ণ নাগরিক অধিকার দিয়ে মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবাসন দাবিতে শান্তিপূর্ণ মানববন্ধন ও সমাবেশ করেছে রোহিঙ্গারা। বৃহস্পতিবার (২৫ আগস্ট) সকাল সোয়া ১০টা থেকে ১১টা পর্যন্ত উখিয়া-টেকনাফের ২০টি ক্যাম্পে পৃথকভাবে এই মানববন্ধন ও সমাবেশ হয় বলে জানিয়েছেন রোহিঙ্গা নেতারা।

‘গো ব্যাক হোম’ প্রতিপাদ্যে মানববন্ধনে নানা দাবি নিয়ে বক্তব্য রাখেন ক্যাম্প ও ব্লকভিত্তিক কমিউনিটি রোহিঙ্গা নেতারা। এসময় উপস্থিত রোহিঙ্গাদের একবাক্যের দাবি- ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’।

কথা ছিল সমাবেশ নয়, শ’খানেক রোহিঙ্গারা মানববন্ধন করতে পারবেন। কিন্তু নিপীড়নের বিচার দাবিতে স্বতঃস্ফূর্তভাবে মানববন্ধনে জড়ো হয়ে যান হাজারো রোহিঙ্গা। এতে মানববন্ধনগুলো সমাবেশে রূপ নেয়। সেখানে তারা ২০১৭ সালে তাদের উপর ঘটে যাওয়া গণহত্যা, ধর্ষণসহ নিপীড়নের সুষ্ঠু বিচার দাবি করেন। পূর্ণ মর্যাদা নিয়ে প্রত্যাবাসন কামনা করেন তারা। এসময় তাদের নিরাপদ আশ্রয় দেওয়ায় বাংলাদেশ সরকারকে ধন্যবাদ জানান।

উখিয়ার কুতুপালং, বালুখালী, পালংখালী, থাইংখালীর তাজনিমারখোলাসহ ২০টি ক্যাম্পে এ সমাবেশ ও মানববন্ধন হয়েছে।ক্যাম্পে নিরাপত্তায় নিয়োজিত ৮ এপিবিএন’র -উপ অধিনায়ক কামরান হোসেন বলেন, ‘আমার অধীন ১৬, ১৩ নম্বর ক্যাম্পসহ ১১টি ক্যাম্পে ২০টি পৃথম স্থানে রোহিঙ্গারা স্বদেশে ফেরার আকুতি জানিয়ে শান্তিপূর্ণভাবে মানববন্ধন ও সমাবেশ করেছে। মানববন্ধনে নিরাপত্তা জোরদার ছিল।’

উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে নির্যাতন ও গণহত্যার শিকার হয়ে রোহিঙ্গারা দেশ ছাড়া হওয়ার ৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে সমাবেশ ও মানববন্ধনের আয়োজন করে বৃহস্পতিবার। এর আগে, ২০১৯ সালের ২৫ আগস্ট ক্যাম্পে প্রথম বড় সমাবেশ করা হয়, যার নেতৃত্ব দিয়েছিলেন মাস্টার মুহিবুল্লাহ। পরে তিনি সন্ত্রাসীদের হাতে নিহত হন। এবারের সমাবেশে কেউ নেতৃত্বে ছিলেন না। কমিউনিটি নেতারাই রোহিঙ্গাদের জড়ো করেন।

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.