জঙ্গল সলিমপুরে ভূমিদস্যু সন্ত্রাসীর জায়গা হবে না: ভূমি মন্ত্রী

১৮২

ভূমি মন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ বলেছেন, বর্তমান সরকার সীতাকুণ্ডের জঙ্গল সলিমপুরকে ঘিরে মহাপরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। এখানে আর কোন ভূমিদস্যু, সন্ত্রাসীর জায়গা হবে না। জঙ্গল সলিমপুরে কেন্দ্রীয় সরকারের মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন ও প্রকৃত ভূমিহীনদের পুনবার্সন সংক্রান্ত মতবিনিময় সভায় প্রকৃত ভূমিহীনদের পুনর্বাসন করা হবে বলেও জানান ভূমি মন্ত্রী।

রবিবার (২৪ জুলাই) বিকেলে মন্ত্রী জঙ্গল সলিমপুর পরিদর্শনকালে আরও বলেন, প্রাকৃতিক পরিবেশ সমুন্নত রেখে পরিকল্পিত পরিবেশ বান্ধব উন্নয়ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন ও নগরায়ণে বর্তমান সরকার বদ্ধ পরিকর। পরিবেশ সমুন্নত রেখে উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণের জন্য সীতাকুণ্ড উপজেলার জঙ্গল ছলিমপুর একটি আদর্শ স্থান।

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমানের সভাপতিত্বে ও সীতাকুণ্ড উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. শাহাদাত হোসেনের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অথিতি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, চট্টগ্রাম সিটি মেয়র এম রেজাউল করিম চৌধুরী।

সংশ্লিস্ট সূত্র বলছে, চট্টগ্রাম শহর থেকে ১০কিমি দূরে এই এলাকার ০৫টি মৌজায় মোট খাস জমির পরিমাণ প্রায় ২৮০০ একর। এর পূর্ব ও উত্তরে রয়েছে চট্টগ্রাম সেনানিবাস ও বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমি, পশ্চিমে বঙ্গোপসাগর, দক্ষিণে চট্টগ্রাম শহর। কিন্তু কতিপয় ভূমিদস্যু নব্বই দশক থেকে এখানে পাহাড় কেটে পরিবেশ বিপন্ন করে জঙ্গল ছলিমপুরকে অবৈধ বসবাসকারী অপরাধীদের স্বর্গরাজ্য হিসেবে গড়ে তুলেছে। অবৈধভাবে পাহাড় কেটে তৈরি করা ঝুকিপূর্ণ প্লটগুলো দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে অপকর্ম করে আসা সন্ত্রাসীদের নিকট বিক্রি করা হচ্ছে।

সরকার জঙ্গল ছলিমপুরে আধুনিক সুযোগ সুবিধা সম্বলিত একটি স্পোর্টস ভিলেজ, জনসাধারণের চিকিৎসার জন্য হার্ট ফাউন্ডেশন হসপিটাল, একটি সাফারি পার্ক, কেন্দ্রীয় কারাগার, একটি নান্দনিক মসজিদ, উচ্চ শক্তির বেতার সম্প্রচার কেন্দ্র,পাহাড় ব্যাবস্থাপনা কমিটির প্রশিক্ষণ কেন্দ্র এবং ছিন্নমূল জনসাধারণের পুনর্বাসনের মহাপরিকল্পনা গ্রহণ করে।

এ সময় বিদ্যুতের প্রধান প্রকৌশলী রেজাউল করিম, মন্ত্রীর একান্ত সচিব রেজ্জাকুল ইসলাম, উপপরিচালক স্থানীয় সরকার ড.বদিউল আলম, উপজেলা চেয়ারম্যান এস এম আল মামুন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব), মোহাম্মদ নাজমুল আহসান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ( এল এ) মাসুদ কামাল, সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো: আশরাফুল আলম, রাউজানের উপজেলা চেয়ারম্যান এহছানুল হায়দার চৌধুরী বাবুল, সলিমপুর ইউপি চেয়ারম্যান সালাউদ্দিন আজিজ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, জঙ্গল ছলিমপুর ছিল এক সময়ে দাগী সন্ত্রাসীদের নিরাপদ আশ্রয় কেন্দ্র। নিজেদের আশ্রয়কে নিরাপদ করতে পাহাড় কেটে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা জলবায়ু উদ্বাস্তুদের কাছে কম দামে সরকারি জমির দখল বিক্রি করতো সন্ত্রাসীরা। আর নগরীর অসংখ্য বস্তীর নেতারা সেখানে বিভিন্ন সমিতির নামে করেছেন পাহাড় উচ্ছেদ। সব কিছু জেনেও চট্টগ্রামের প্রশাসন ছিল নীরব দর্শক।

গত ১ জুলাই তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদও জঙ্গল ছলিমপুর পরিদর্শন করেন।

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.