স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠের যন্ত্রটি কালুরঘাটে পুনস্থাপন করা হবে

চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী

৭১৮

তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ডা. মোঃ মুরাদ হাসান এমপি বলেছেন, ১৯৭১ সালে বঙ্গবন্ধুর দেওয়া স্বাধীনতার ঘোষণা ২৬ মার্চ ভোরে তৎকালীন চট্টগ্রাম আওয়ামী লীগ নেতা এম এ হান্নান যে যন্ত্রের সাহায্যে পাঠ করেছিলেন, তা কালুরঘাট বেতার কেন্দ্রে পুনস্থাপন করা হবে। এটি বর্তমানে জিয়ার নামে করা জাদুঘরে রাখা আছে। এখান থেকে যন্ত্রটি সরিয়ে নেয়া হবে। তিনি বলেন, চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজ অনেক ইতিহাস ঐতিহ্যের সাক্ষী। তাই এখানে কোন খুনির নামে জাদুঘর রাখা হবেনা।

প্রতিমন্ত্রী সোমবার (৬সেপ্টেম্বর) চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে সাংবাদিকদের সাথে মত বিনিময় সভায় এসব কথা বলেন। চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব সভাপতি আলী আব্বাসের সভাপতিত্বে সভায় প্রেসক্লাব সহসভাপতি সালাহউদ্দিন মোঃ রেজা, সাবেক সভাপতি কলিম সারোয়ার, শহিদুল আলম, প্রেসক্লাব সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী ফরিদ, চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়ন সভাপতি মোহাম্মদ আলী, সাধারণ সম্পাদক ম. শামসুল ইসলাম, মহসিন চৌধুরী বক্তব্য রাখেন।

তথ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, সরকার সাংবাদিক বান্ধব। করোনা মহামারিকালে ঝুঁকিপূর্ণভাবে কাজ করায় কল্যাণ ট্রাস্টের মাধ্যমে সাংবাদিকদের ১০ কোটি টাকা প্রণোদনা দেয়া হয়েছে। সাংবাদিকদের যুতসই সংজ্ঞা নির্ধারণসহ সম্প্রচার নীতিমালাকে আইনে পরিণত করার চিন্তা ভাবনা চলছে। পাশাপাশি গণমাধ্যমকর্মী আইন দ্রুত বাস্তবায়ন করার ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, সাংবাদিকরা সমাজের দর্পণ হিসেবে কাজ করছে। কিছু মতপার্থক্য থাকলেও মৌলিক প্রশ্নে সবাইকে ঐকব্যবদ্ধ থাকতে হবে। সন্ত্রাস, জঙ্গীবাদ ধর্মের নামে রাজনীতি ও ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে লেখনির মাধ্যমে রুখে দাঁড়াতে হবে।

ডাঃ মুরাদ হাসান বলেন, এ বাংলাদেশ রক্ত দিয়ে কেনা। কারো দয়ার দান নয়। বাংলাদেশের জন্য বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবার সবচেয়ে বেশি রক্ত দিয়েছেন। প্রতিনিয়ত মৃত্যু ঝুঁকি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী দেশ ও মানুষের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছেন। কাজেই আমাদেরকে প্রধানমন্ত্রীর কথা শুনতে হবে। তাঁর নির্দেশিত পথে চলতে হবে। বঙ্গবন্ধুর সোনার মানুষ হতে হবে।

সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী বলেন, জিয়া পরিবারের সদস্যরা বিদেশে বসে দেশ দখলের হুমকি দিচ্ছে। ষড়যন্ত্র করছে। তাদের কোন ষড়যন্ত্র সফল হবেনা। বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনার সৈনিকেরা তা হতে দেবেনা। বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশে জিয়াউর রহমানের মরনোত্তর বিচার এবং জিয়া পরিবারের সবার বিচার হতেই হবে বলে তিনি এসময় উল্লেখ করেন।

পরে তিনি প্রেসক্লাবের বঙ্গবন্ধু হল পরিদর্শন করেন।

দুপুরে তিনি ফৌজদারহাটস্থ চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে যান। সেখানকার সব কার্যক্রম তিনি ঘুরে দেখেন। চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ডা. ইসমাইল হোসেন খান, জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. বিদ্যুৎ বড়ুয়াসহ সব বিভাগের বিভাগীয় প্রধানগণ এসময় উপস্থিত ছিলেন।

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.