কাবুল ত্যাগ করলো মার্কিন শেষ সৈন্যটিও

৫৬৮

আফগানিস্তান থেকে মার্কিন বাহিনীর শেষ সৈন্যের বিদায়ের পর তালেবান ঘোষণা করেছে, আফগানিস্তান এখন ‌’পূর্ণ স্বাধীন’ দেশ।

তালেবানের মুখপাত্র জাবিউল্লাহ মুজাহিদ বলেন, আমেরিকান সৈন্যরা কাবুল বিমানবন্দর ত্যাগ করেছে। আমাদের জাতি পূর্ণ স্বাধীনতা লাভ করেছে।

প্রায় ২০ বছর অবস্থানের পর মার্কিন বাহিনী ৩১ আগস্টের চূড়ান্ত সময়সীমার এক দিন আগে সোমবার রাতে আফগানিস্তান ত্যাগ করে। দু্ই সপ্তাহ ধরে অপসারণ কার্যক্রমের মধ্য দিয়ে আমেরিকার ইতিহাসের দীর্ঘতম যুদ্ধের অবসান ঘটে।

কাবুলে উল্লাস
শেষ মার্কিন সৈন্য রাজধানী কাবুল থেকে সরে যাওয়া মাত্র কাবুলে উল্লাস ছড়িয়ে পড়ে।
কাবুল থেকে আল জাজিরার সংবাদদাতা রব ম্যাকব্রাইড সোমবার রাতে বলেন, কাবুলে এখান উল্লাস চলছে। নগরীর আকাশ ফাঁকা গুলির আলোতে উজ্জ্বল।

সারা রাত উল্লাসের পর মঙ্গলবার সকালে কাবুল অবশ্য শান্ত দেখা যায়। কাবুলবাসী তালেবানের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে সকালে তাদের দিন শুরু করে।

শেষ ব্যক্তি হিসেব আফগানিস্তান ত্যাগ করেন মার্কিন কমান্ডার ও রাষ্ট্রদূত
আফগানিস্তান থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে যুক্তরাষ্ট্র বিদায় নিয়েছে। সোমবার রাতে তারা প্রায় ২০ বছর আফগানিস্তানে অবস্থানের অবসান ঘটায়। শেষ আমেরিকান হিসেবে দেশটি থেকে সরে যান আফগানিস্তানে আমেরিকান স্থলবাহিনীর কমান্ডার ও ওয়াশিংটনের রাষ্ট্রদূত। তারাই শেষ ব্যক্তি হিসেবে কাবুল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বিমানে ওঠেন।

ইউএস সেন্ট্রাল কমান্ডার বলেন, শেষ ব্যক্তি হিসেবে বিমানে ওঠেন ৮২তম এয়ারবোন ডিভিশনের কমান্ডার ও সেখানে আমার স্থলবাহিনীর কমান্ডার জেনারেল ক্রিস ডোনাহো।

মেরিন জেনারেল ফ্রাঙ্ক ম্যাকেঞ্জি পেন্টাগনে সাংবাদিকদের বলেন, আর তার সাথে ছিলেন রাষ্ট্রদূত রস উইলসন।

এক যুদ্ধ, চার প্রেসিডেন্ট
শেষ সৈন্য প্রত্যাহারের মধ্য দিয়ে আমেরিকার দীর্ঘতম যুদ্ধের অবসান হলো। প্রায় ২০ বছর আফগানিস্তানে অবস্থানের পর সোমবার দেশটিতে মার্কিন উপস্থিতির সমাপ্তি ঘটেছে। আর এই সময়ে যুক্তরাষ্ট্রে চারজন প্রেসিডেন্ট ছিলেন।

জর্জ ডব্লিউ বুশ ৯/১১-এর জের ধরে ২০০১ সাল আফগানিস্তানে সৈন্য পাঠিয়েছিলেন।

আর বারাক ওবামা তার দুই মেয়াদের পুরোটাই যুদ্ধে নিয়োজিত ছিলেন। তিনি দেশটিতে আমেরিকান সৈন্য ব্যাপকভাবে বাড়িয়েছিলেন।

ডোনাল্ড ট্রাম্প আমেরিকান সৈন্যদের দেশে ফিরিয়ে আনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, তালেবানের সাথে চুক্তিও করেছেন।

আর সৈন্য প্রত্যাহারের কাজটি তদারকি করেছেন জো বাইডেন। তিনি গত দুই সপ্তাহে মার্কিনিদের ফিরিয়ে এনেছেন।

বিদ্যমান পরিস্থিতির আলোকে এই চার প্রেসিডেন্ট সঙ্ঘাত সামাল দিয়েছেন। তবে আমেরিকান মূল্যবোধ ও স্বার্থ নিয়ে নিজস্ব দৃষ্টিভঙ্গির আলোকেও তারা পরিচালিত হয়েছেন।

তাদের কিভাবে স্মরণ করা হবে তা মূল্যায়ন করছেন একজন প্রেসিডেন্টশিয়াল ইতিহাসবিদ ও জাতীয় নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ।

সূত্র : বিবিসি

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.