সিআরবিতে হাসপাতাল: সরকারের অবস্থানের বাইরে কথা বলবেন না নওফেল

৩৫০

সিআরবির এলাকায় হাসপাতাল নির্মাণ প্রসঙ্গে শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেছেন, সরকারের অবস্থানের বাইরে তার নিজের কোন অবস্থান নেই।

রোববার (২৯ আগস্ট) সকালে চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের নতুন এইচডিইউ (হাই ডিপেন্ডেনসি ইউনিট) ওয়ার্ডের উদ্বোধনের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে নওফেল এ মন্তব্য করেন।

শিক্ষা উপমন্ত্রী বলেন, ‘এটা সরকারের একটা নির্বাহী সিদ্ধান্ত, আমি যেহেতু সরকারের একটা নির্বাহী দায়িত্বে আছি। এ বিষয়ে আমার মন্তব্য করাটা সমীচীন হবে না।’

এর আগে গতকাল হাসপাতাল নির্মাণের বিরোধীতাকারীদের একহাত নিয়েছেন দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও চট্টগ্রাম ৮ আসনের সাংসদ মোছলেম উদ্দীন আহমদ। চট্টগ্রাম সম্মিলিত কর আইনজীবী সমন্বয় পরিষদ আয়োজিত এক শোকসভায় তিনি বলেছেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর ইচ্ছায় চট্টগ্রামের রেলওয়ের ভূমিতে পিপিপির মাধ্যমে সিআরবি এলাকায় একটি হাসপাতাল নির্মাণের প্রকল্প গ্রহণ করে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। যেখানে বর্তমানে কিছু ঝুপড়ি ঘর ও দোকানপাট রয়েছে। অথচ এক শ্রেণির লোক কিছু না বুঝেই হীন স্বার্থে হাসপাতাল নির্মাণে বিরোধিতা করে যাচ্ছে।’

এর আগে এইচডিইউ বেড উদ্বোধনকালে শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল এমপি ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে এক সময় কাক-পক্ষিও আসতোনা। কোভিডকালীন  সময়ে চিকিৎসার সেবার দিক থেকে এ হাসপাতাল একটি বিশেষায়িত হাসপাতালে পরিণত হয়েছে। জেনারেল হাসপাতালকে শীঘ্রই পূর্ণাঙ্গ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রূপান্তর করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

পরে তিনি জেনারেল হাসপাতালের জন্য নতুন ৮ বেডের হাই ডিপেনডেন্সি ইউনিটের (এইচডিইউ) উদ্বোধন করেন। চট্টগ্রাম ফিল্ড হাসপাতালের উদ্যোগে ও বিএসআরএম’র আর্থিক সহায়তায় এসব এইচডিইউ নতুন মেডিকেল বেড স্থাপন করা হয়।

চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ও জেলা সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বির সভাপতিত্বে এবং মেডিসিন বিভাগের সিনিয়র কনসালটেন্ট ডা. আব্দুর রবের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, চট্টগ্রাম ফিল্ড হাসপাতালের সিইও  ডা. বিদ্যুৎ বড়ুয়া, মহানগর মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মোজাফফর আহমদ, বিএসআরএম’র উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক তপন সেনগুপ্ত ও জেনারেল হাসপাতাল আইসিইউ ইউনিটের কনসালট্যান্ট ডা. মৌমিতা দাশ প্রমূখ।

চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ও জেলা সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি জানান, করোনা রোগীদের চিকিৎসায় বর্তমানে জেলারেল হাসপাতালে ১৬টি আইসিইউ, নতুন ৮টিসহ ১০টি এইচডিইউ ও ১৭৪টি আইসোলেশন বেড রয়েছে।

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.