জুলুছকে ঘিরে চট্টগ্রাম শহরের কয়েক বর্গ কিলোমিটার এলাকা জনসমুদ্র: আয়োজকদের প্রত্যাশা চট্টগ্রামের ঐতিহাসিক এই জুলুছ গিনেস বুকে স্থান পাবে
চট্টগ্রামে লাখো লাখো আশেকে রাসূলের অংশগ্রহণে আনজুমানে রহমানিয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া ট্রাস্টের ৫৪তম জশনে জুলুছ অনুষ্ঠিত হয়েছে। জুলুছকে ঘিরে চট্টগ্রাম শহরের কয়েক বর্গ কিলোমিটার এলাকা জনসমুদ্রে পরিণত হয়। এবার জুলুসে নেতৃত্ব দেন দরবারে সিরিকোটের সাজ্জাদানশিন পীর আল্লামা সৈয়দ মুহাম্মদ সাবির শাহ। আনজুমানে রহমানিয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া ট্রাস্ট আয়োজিত জুলুসে নেতৃত্ব দিচ্ছেন দরবারে সিরিকোটের সাজ্জাদানশিন পীর আল্লামা সৈয়দ মুহাম্মদ সাবির শাহ (ম জি আ)। সাথে ছিলেন সাহেবজাদা হজরত সৈয়দ মুহাম্মদ কাসেম শাহ (ম জি আ), সৈয়দ মুহাম্মদ মেহমুদ আহমদ শাহ (ম জি আ) ও আনজুমান ট্রাস্টের সিনিয়র সহ সভাপতি মো: মঞ্জুর আলম মঞ্জু, সেক্রেটারি জেনারেল মুহাম্মদ আনোয়ার হোসেন সহ নেতৃবৃন্দ।
সকাল ১০টায় চট্টগ্রামের জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া মাদ্রাসা সংলগ্ন আলমগীর খানকা থেকে ঐতিহাসিক জুলুছ বের করা হয়। জুলুসকে ঘিরে জনসমুদ্রে পরিণত হয় ষোলশহর, বিবিরহাট, মুরাদপুর, বহদ্দারহাট, দুই নম্বর গেইট ও জিইসি এলাকা। আয়োজক কমিটি বলেছেন, এবারের জুলুছে ৬০ থেকে ৭০লক্ষ নবী প্রেমিকের সমাবেশ ঘটেছে । জুলুছটি শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে জামেয়া মাদ্রাসা মাঠে গিয়ে জোহর নামাজ ও মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হয়। জুলুছ শুরু হবার পর আল্লাহর রহমতে মেঘে ঢেকে যায় চট্টগ্রাম শহর । সকাল থেকে প্রচন্ড গরম শুরু হলেও সকাল ১০টার পর আকাশে মেঘ থাকায় লাখ লাখ আশেকানদের বেশি কস্ট হয়নি বলে জানাগেছে।
তারপরেও মাইলের পর মাইল হেঁটে জুলুসে অংশগ্রহণকারীদের শরবত, পানি, রুটি, জিলাপি, খেজুর, কলা, চকলেট দিয়ে আপ্যায়ন করছেন সড়ক পাশের লোকজন।
আয়োজকদের প্রত্যাশা চট্টগ্রামের ঐতিহাসিক এই জুলুছ এবার গিনেস বুকে স্থান পাবে।
জুলুসকে স্বাগত জানিয়ে নগরের বিভিন্ন স্থানেশতশত সুদৃশ্য তোরণ, লাখ লাখ ব্যানার, ফেস্টুন, জাতীয় পতাকা ও আনজুমানের পতাকাসহ শহর জুড়ে আলোকসজ্জা করা হয়েছে।
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.