ছাত্রলীগ-আওয়ামী লীগের চেয়ে কঠিন পরিণতি ভোগ করতে হবে ছাত্রদলকে — চট্টগ্রামে শিবির সভাপতি ।

চাঁদাবাজি, সন্ত্রাস, নৈরাজ্য ও শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিলের আয়োজন করে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির চট্টগ্রাম মহানগর উত্তর শাখা। চট্টগ্রামের ওয়ালিখাঁ জামে মসজিদ চত্বরে থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি নগরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে পুনরায় অলিখাঁ মসজিদের সামনে বক্তব্যের মধ্য দিয়ে শেষ হয়।
চট্টগ্রাম মহানগর উত্তর সেক্রেটারি মুমিনুল হক মুমিনের সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন ছাত্রশিবির চট্টগ্রাম মহানগর উত্তর সভাপতি তানজীর হোসেন জুয়েল ও চট্টগ্রাম মহানগর দক্ষিণ সভাপতি ইব্রাহিম হোসেন রনি সহ অন্যরা।
সভাপতি তানজীর হোসেন জুয়েল বলেন, “বিগত সময়ে ফ্যাসিবাদীরা যে স্লোগান দিয়েছিল, গতকাল ছাত্রদল একই স্লোগান দিয়ে নব্য ফ্যাসিবাদের পরিচয় দিয়েছে। সারাদেশে চাঁদাবাজি করে ব্যবসায়ী ভাইদের বিরক্ত করে তুলেছে। ২১ তারিখে চাঁদাবাজির প্রতিবাদ করায় আমাদের ভাইদের ওপর দেশীয় অস্ত্রসহ হামলা চালিয়ে মারাত্মকভাবে আহত করেছে।“
ছাত্রদলের ব্যানারে যারা জামায়াত-শিবির-রাজাকার—এই মুহূর্তে ‘বাংলা ছাড়’ স্লোগান দিয়েছিল, তাদের হুঁশিয়ার করে তিনি আরও বলেন, “কিছুদিন আগেও যারা আমাদের বাংলা ছাড়া করার ঘোষণা দিয়েছিল, তারাই আজ বাংলাদেশ ছেড়ে দিল্লি গিয়ে বসে আছে। তিনি আরও হুঁশিয়ার করে বলেন, এভাবে নৈরাজ্য ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চলতে থাকলে ছাত্রলীগ-আওয়ামী লীগের চেয়ে কঠিন পরিণতি ভোগ করতে হবে।“
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মহানগর দক্ষিণের সভাপতি ইব্রাহিম হোসেন রনি বলেন, “জুলাই বিপ্লব শুধুমাত্র ৩৬ দিনের জুলুম-নির্যাতনের কারণে ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে আন্দোলন হয়নি, বরং বিগত সতেরো বছরে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি ও নির্যাতনে অতিষ্ঠ হয়ে ছাত্রজনতা একটি সর্বাত্মক আন্দোলন গড়ে তুলেছিল। কিন্তু দুঃখের বিষয়, ছাত্রদল নামক সংগঠন চাঁদাবাজিকে তাদের সৃজনশীল (ক্রিয়েটিভ) কাজে পরিণত করেছে। দুই দিন আগে চকবাজারে শিক্ষার্থীদের ওপর গুলি চালিয়ে আমাদের ভাইদের রক্তাক্ত করেছে। আমরা প্রশাসনের কাছে প্রশ্ন রাখতে চাই—তারা এ গুলি কোথায় পেয়েছে? শীঘ্রই সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার করতে হবে।”
তিনি আরও হুঁশিয়ার করে বলেন, “বীর চট্টলায় ইসলামী আন্দোলনের শিকড় অনেক গভীরে—ছাত্রশিবিরকে টার্গেট করলে তোমাদেরকে কঠিন পরিণতির জন্য অপেক্ষা করতে হবে।“
সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন ছাত্রশিবির চট্টগ্রাম মহানগর উত্তর-এর সাংগঠনিক সম্পাদক খুররম মুরাদ, অর্থ সম্পাদক গোলাম আজম, অফিস সম্পাদক আরফাত হোসেন, প্রচার সম্পাদক সিরাজী মানিক প্রমুখ।
মিছিলে “নারায়ে তাকবীর ু আল্লাহু আকবর”, “ভিক্ষা লাগলে ভিক্ষা নে—চাঁদাবাজি ছাইড়া দে”, “চাঁদাবাজের ঠিকানা—বীর চট্টলায় হবে না”, “আমার সোনার বাংলায়—চাঁদাবাজের ঠাঁই নাই”, “চাঁদাবাজের বিরুদ্ধে লড়াই হবে একসাথে”, “চাঁদাবাজ সন্ত্রাসবাদ—রুখে দাও ছাত্রসমাজ” ইত্যাদি স্লোগান ধ্বনিত হয়।

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.