চসিক মেয়রের সাথে ফিলিপাইন রাষ্ট্রদূতের সৌজন্য সাক্ষাৎ
চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেনের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন ফিলিপাইনের রাষ্ট্রদূত নিনা পাদিলা কেইংলেট।
বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) নগর ভবনে অনুষ্ঠিত এই সাক্ষাতে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য, পর্যটন, শিক্ষা এবং সাংস্কৃতিক আদান-প্রদানের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। সাক্ষাতের গুরুত্বপূর্ণ আলোচ্য বিষয়গুলোর মধ্যে ছিল চট্টগ্রামের বিনিয়োগ সম্ভাবনা ও শিক্ষা খাতে ফিলিপাইনের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগানো।
সভায় মেয়র বলেন, চট্টগ্রামে ৩ টি ইপিজেড রয়েছে। এছাড়া উৎপাদিত পণ্য ও কাঁচামাল সহজে পরিবহনের জন্য রয়েছে ১ টি সমুদ্র বন্দর ও আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর। এশিয়ার দুই দেশ বাংলাদেশ এবং ফিলিপাইনের মাঝে বিদ্যমান সুসম্পর্ককে কাজে লাগালে দুটি দেশই আর্থিক ও সাংস্কৃতিক দিক থেকে লাভবান হতে পারে। ব্যাপক বিনিয়োগের ফলে চট্টগ্রাম বৈদেশিক বিনিয়োগের একটি গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। ফিলিপাইন এই সোনালী সুযোগকে কাজে লাগাতে চট্টগ্রামে বিনিয়োগ করলে বেশ লাভবান হবে।
ফিলিপাইনের রাষ্ট্রদূত নিনা পাদিলা কেইংলেট বলেন, ফিলিপাইনের ব্যবসায়ীদের এগ্রো বিজনেস, ফুড প্রসেসিং, স্বাস্থ্য শিক্ষা ইত্যাদি খাতে ব্যবসা সম্প্রসারণের পরিকল্পনা রয়েছে। বাংলাদেশে এই বিনিয়োগ সম্ভাবনা যাচাই করতে ব্যবসায়ীদের সাথে মতবিনিময় হয়েছে। এছাড়া, ফিলিপাইনের আয়ের অন্যতম উৎস পর্যটন খাত। ফিলিপাইনের হোটেল এবং ট্যুরিজম এর অভিজ্ঞতাও বাংলাদেশ কাজে লাগাতে পারে।
এ সময় মেয়র প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ে হোটেল ম্যানেজমেন্ট, ট্যুরিজম এন্ড হসপিটালিটির উপর ফিলিপাইনের অভিজ্ঞ ব্যক্তিদের কাজে লাগিয়ে একাডেমিক কার্যক্রম শুরু করা যায় কী না সে বিষয়ে সম্ভাবনা খতিয়ে দেখতে বলেন। এছাড়া, চসিকের ৫৬টি হেলথ সেন্টার ও মিডওয়াইফারি ইনস্টিটিউটকে কাজে লাগিয়ে দক্ষ নার্স গড়ে তোলার বিষয়ে ফিলিপাইন ভূমিকা রাখতে পারে বলেও মন্তব্য করেন।
এসময় চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম, প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা কমান্ডার ইখতিয়ার উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী, ফিলিপাইনের বাংলাদেশ দূতাবাসের ভাইস কনসাল লিন আর গুতেরেজ, ফিলিপাইনের অনারারি কনসাল জেনারেল আবদুল আউয়ালসহ সংস্থা দু’টির কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.