মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস যেখানেই থাকবে সংরক্ষণ করা হবে : মেয়র শাহাদাত
পটিয়ায় জিয়া স্মৃতি গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টের উদ্বোধন
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাতে হোসেন বলেছেন, মুক্তিযোদ্ধাদের আমরা স্মরণ করি। আমরা মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস যেখানে যেখানে আছে, সেটা প্রকৃতঅর্থে সংরক্ষণ করবো। কোনো ধরনের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে বিকৃত করতে চাই না এবং করবো না। মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস যেখানেই থাকবে সংরক্ষণ করা হবে।
শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে চট্টগ্রামের পটিয়া আদর্শ স্কুল মাঠে শহীদ জিয়া স্মৃতি গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
পটিয়া উপজেলা ও পৌরসভা বিএনপির উদ্যোগে ও দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাবেক সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক এনামুল হক এনামের পৃষ্ঠপোষকতায় এই টুর্নামেন্টের আয়োজন করা হয়।
টূর্ণামেন্ট পরিচালনা কমিটির আহবায়ক নাজমুল হক রিপনের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব মোজাম্মেল হকের পরিচালনায় উদ্বোধক ছিলেন পটিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারহানুর রহমান। প্রধান বক্তা বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাবেক সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক এনামুল হক এনাম, বিশেষ অতিথি ছিলেন পটিয়া মৎস্য কর্মকর্তা স্বপন চন্দ্র দে, লোহাগড়া উপজেলা বিএনপির আহবায়ক লায়ন নাজমুল মোস্তফা আমিন।
উদ্বোধনী খেলায় চট্টগ্রাম ব্রাদার্স ইউনিয়ন ও মোহাম্মদ নগর ফুটবল একাডেমী অংশগ্রহণ করেন। খেলায় পূর্নাঙ্গ সময়ে ১-১ গোলে অমীমাংসিত থাকলে পরে ট্রাই ব্রেকারে ব্রাদার্স ইউনিয়ন জয় লাভ করে। খেলা পরিচালনা করেন রেফারি নাছির সরকার।
এসময় টুর্নামেন্টটি এখন থেকে প্রতিবছরই অনুষ্ঠিত হবে বলেও ঘোষণা দেন চসিক মেয়র শাহাদাত হোসেন। এছাড়া, পটিয়ায় আরো টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত হবে এবং সব ধরনের সহযোগিতা করার আশ্বাস দেন তিনি।
শাহাদাত হোসেন বলেন, মেয়র হওয়ার পর আমি বলেছিলাম, নগরীর ৪১টি ওয়ার্ডেই খেলার মাঠ তৈরি করা হবে। ইতোমধ্যে ৭টি খেলার মাঠের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছি। আমি আমার কথা রাখার জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো।
এতদিন বিপ্লব উদ্যানে মুক্তিযুদ্ধে শহীদ জিয়ার ইতিহাসকে ভিন্নখাতে নেওয়া হয়েছিল মন্তব্য করে তিনি বলেন, পতিত আওয়ামী সরকার গত ১৬ বছর ষোলশহরস্থ বিপ্লব উদ্যানে মুক্তিযুদ্ধে শহীদ জিয়ার ভূমিকাকে ভিন্নখাতে নিয়েছিল। তারা বিপ্লব উদ্যানকে জঞ্জালে পরিণত করেছিল। আমি মেয়র হওয়ার তিনদিনের মাথায় তাদের সমস্ত স্ট্রাকচার ভেঙে দিয়েছি। সঠিক ইতিহাস, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস, বিপ্লব উদ্যান কেন নামকরণ হয়েছে, সেই ইতিহাস এখন থেকে নতুন প্রজন্ম জানতে পারবে।
তিনি বলেন, এভাবে স্বাধীনতা পার্কও নেওয়া হবে। এটা পাওয়ার জন্য চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন থেকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। সেখানেও লেখা থাকবে, সেদিন শহীদ জিয়া বলেছিলেন— আমি মেজর জিয়া বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করছি। এ কথাগুলো নতুন প্রজন্মের কাছে অনেকটা ম্লান হয়ে আছে, তারা জানে না। আমরা চাই তাদের জানাতে।
তিনি আরো বলেন, ১৪ ডিসেম্বরের বধ্যভূমিতে আমাদের পেশাজীবী, বুদ্ধিজীবীদের যাদের ফয়’স লেকে হত্যা করা হয়েছিল, সেখানেও আমারা স্মৃতিচারণ করবো। প্রকৃত ইতিহাস সেখানে থাকবে।
নতুন প্রজন্মকে উদ্দেশ্য করে মেয়র শাহাদাত হোসেন বলেন, আমি নতুন প্রজন্মকে বলতে চাই— শহীদ জিয়াউর রহমানকে সম্পর্কে জানুন। তাহলে বাংলাদেশকে আপনারা জানতে পারবেন।
এতে উপস্থিত ছিলেন পটিয়া পৌরসভা বিএনপির আহবায়ক নুরুল ইসলাম সওদাগর, পটিয়া উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব খোরশেদ আলম, পৌরসভা বিএনপির সদস্য সচিব গাজী আবু তাহের, উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি নুরুল আমিন এমএসসি, উপজেলা বিএনপির সি. যুগ্ম আহবায়ক মফজল আহমদ চৌধুরী, যুগ্ম আহ্বায়ক কমিশনার আবুল ফয়েজ, একেএম জসীম উদ্দীন, মঈনুল আলম ছোটন, শফিকুল ইসলাম, সাইফুদ্দিন আহমেদ, তৌহিদুল আলম, হাজী কামাল উদ্দীন, হারুনুর রশীদ চৌধুরী, হাজী আবুল কাশেম, আবদুল মাবুদ, মোজাম্মেল হক চৌধুরী, দক্ষিণ জেলা যুবদলের সি. সহ সভাপতি শাহাজান চৌধুরী, টুর্ণামেন্ট পরিচালনা কমিটির সদস্য আবুল কালাম বাবু, নাছির উদ্দীন, বাদশা মিয়া, বোরহান উদ্দীন, শওকত আলী, মো. আবছার, জাকির হোসেন, মো. রফিক, জেলা কৃষক দলের সদস্য সচিব মীর জাকের, জেলা যুবদলের যুগ্ম সম্পাদক হামিদুর রহমান পিয়ারু, জাহাঙ্গীর আলম, আল রায়হান সোহেল, সিরাজুল ইসলাম তারেক, জেলা জাসাসের সদস্য সচিব নাছির উদ্দীন প্রমূখ।
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.