পবিত্র ঈদ-উল-আযহা উপলক্ষে সিলেট ও সুনামগঞ্জের বানভাসি মানুষের জন্য ১০০ টি গরু প্রদান করেছেন তরুণ রাজনীতিবিদ ফারাজ করিম চৌধুরী। ১০০ টি গরু জবেহ করে ১০ হাজার পরিবারের মাঝে ১ কেজি করে মাংস বিতরণ করা হবে। এই বৃহৎ কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর নিকট ১০০ টি গরু হস্তান্তর করেছেন ফারাজ করিম চৌধুরী।
এরই ধারাবাহিকতায় ৯ জুলাই (শনিবার) সিলেট সেনানিবাসের এরিয়া কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কর্নেল মহসিনুল হক কবিরের নিকট ২৭ টি গরু হস্তান্তর করেন তিনি। এসময় উপস্থিত ছিলেন সিলেট সেনানিবাসের ডিভিশন কমান্ডার মেজর সাবরিনা মমতাজ অনি, জালালাবাদ সেনানিবাসের স্কুল অব ইনফেন্ট্রি এন্ড টেক্টিস এর অধ্যাপক মেজর হাসান চৌধুরী, ৩৮ এস.টি ব্যাটালিয়নের কমান্ডিং অফিসার লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ আবদুল কাদের (পিএসসি), ক্যাপ্টেন সুমাইয়া তাবাসসুম ও ক্যাপ্টেন মেহজাবীন তানজিম রাফা।
গরুর মাংস বিতরণের জন্য আনুষঙ্গিক খরচ বাবদ নগদ ৪ লক্ষ টাকা এসময় প্রদান করা হয়। এর আগে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সিলেট ডিভিশনের জিওসি মেজর জেনারেল হামিদুল হক (এন.এস.ডব্লিউ.সি, পিএসসি)’র সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করে মতবিনিময় করেন ফারাজ করিম চৌধুরী। পরবর্তীতে সিলেট ও সুনামগঞ্জের প্রত্যন্ত জনপদে বানভাসি মানুষের মাঝে পৌঁছে দেওয়ার জন্য বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর বিভিন্ন ক্যাম্পে আরো গরু পাঠানো হয়। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর বিশ্বনাথ ক্যাম্পের জন্য দেওয়া ৮ টি গরু গ্রহণ করেন ক্যাপ্টেন ইমন। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ছাতক ক্যাম্পের জন্য দেওয়া ৫ টি গরু গ্রহণ করেন ক্যাপ্টেন ইমতিয়াজ। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর দোয়ারা বাজার ক্যাম্পের জন্য দেওয়া ৭ টি গরু গ্রহণ করেন ক্যাপ্টেন আবির। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর জালালাবাদ ক্যান্টনমেন্টের জন্য দেওয়া ২৫ টি গরু গ্রহণ করেন মেজর সালাউদ্দিন। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সুনামগঞ্জ ক্যান্টনমেন্টের জন্য দেওয়া ২৮ টি গরু গ্রহণ করেন মেজর আশিক।
এ প্রসঙ্গে ফারাজ করিম চৌধুরী বলেন, “কোরবানির দিন ১০০ টি গরু জবেহ করে সিলেট ও সুনামগঞ্জের প্রত্যন্ত অঞ্চলের অসহায় মানুষের মাঝে পৌঁছে দেওয়ার জন্য আমরা কাজ করছি। আমরা বিশ্বাস করি জনগণের জন্য যদি সেনাবাহিনীকে ১০ টাকা দেওয়া হয় তবে সেই ১০ টাকা তারা যথাযথভাবে পাবে। সেনাবাহিনীর কর্মপরিধি ও কার্যক্ষমতার কারণে আমরা তাদের সাথে কাজ করার ইচ্ছা প্রকাশ করি এবং তারাও এ কাজে সম্পৃক্ত হওয়ার ইচ্ছে প্রকাশ করে। ইনশাআল্লাহ, আমরা সুনামগঞ্জের দিরাই, ধর্মপাশা, জামালগঞ্জ, সুনামগঞ্জ (সদর), তাহিরপুর, বিশ্বনাথ, ছাতক, দোয়ারা বাজার, শাল্লা ও সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ, কানাইঘাট, ফেঞ্চুগঞ্জ, গোলাপগঞ্জ, গোয়াইনঘাট ও বালাগঞ্জে এসব গরু পৌছিয়ে ১০ হাজার পরিবার তথা ৪০ হাজার মানুষের মাঝে বিতরণ করবো।”
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.