পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড চেয়ারম্যান নিখিল কুমার চাকমা শুক্রবার উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন রাঙ্গামাটি সদর উপজেলাধীন রিজার্ভ বাজারের সাথে জুগুলুক্যা পাহাড় ও পুরাতনবস্তী সংযোগের জন্য পিসি গার্ডার ফুটব্রীজ নির্মাণ প্রকল্প পরিদর্শন করেন।
পরিদশর্নকালে চেয়ারম্যান বলেন, ১৯৬০ সালে কাপ্তাই বাঁধ দেয়ার পর কাপ্তাই বাঁধের উদ্ভাস্তু এলাকাবাসীকে এখানকার পুরাতনবস্তী এলাকায় পুনর্বাসিত করা হয়। তখন থেকেই স্থানীয় জনগণের দীর্ঘদিনের স্বপ্ন ছিল যোগাযোগের জন্য একটি ব্রীজ হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৩ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারী ব্রীজের ভিত্তি প্রস্থর স্থাপন করেছিলেন। স্বপ্নের এ ব্রীজ এখন বাস্তব ও দৃশ্যমান। রাঙ্গামাটিবাসীসহ এখানে আগত পর্যটকগণ এ ব্রীজের সুফল ভোগ করবে।
ব্রীজটি বাস্তবায়নে সার্বিক সহযোগিতার জন্য পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং, এম.পি, খাদ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি’র সভাপতি দীপংকর তালুকদার এমপি এবং পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান নব বিক্রম কিশোর ত্রিপুরার প্রতি তিনি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান। তিনি বলেন, সরকার সারাদেশে যোগাযোগের ক্ষেত্রে যে অনন্য নজির সৃষ্টি করেছে, এ ব্রীজটি তার অন্যতম মাইলফলক।
পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন রাঙ্গামাটি সদর উপজেলাধীন রিজার্ভ বাজারের সাথে জুগুলুক্যা পাহাড় ও পুরাতনবস্তী সংযোগের জন্য পিসি গার্ডার ফুট ব্রীজ নির্মাণ শীর্ষক প্রকল্পটির মোট ব্যয় সতের কোটি তেষট্টি লক্ষ ছত্রিশ হাজার টাকা। ব্রীজের দৈর্ঘ্য ৩৮৪.০৮ মিটার এবং প্রস্থ ৪.৫০ মিটার। ব্রীজের নির্মাণ কার্যক্রম দ্রæতগতিতে চলমান রয়েছে এবং আগামী জুন ২০২২ সালে এটি জনসাধারণের জন্য খুলে দেয়ার কথা রয়েছে।
ব্রীজটি নির্মাণের ফলে ইতোমধ্যে পৌর এলাকার রিজার্ভ বাজারের সাথে জুগুলুক্যা পাহাড় ও পুরাতনবস্তী এলাকার সংযোগ সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত কৃষি পণ্য বাজারজাতকরণসহ বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি প্রাথমিক স্বাস্থ্য সেবা ও শিক্ষা সুবিধা সহজতর হয়েছে। এছাড়া ব্রীজের নির্মাণ কার্যক্রম পুরোপুরি সম্পন্ন হলে জুগুলুক্যা পাহাড় ও পুরাতনবস্তী এলাকার সুবিধা বঞ্চিত প্রায় ৩ হাজারের অধিক মানুষ প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে উপকৃত হবে। পর্যটন শিল্পের বিকাশেও ব্রীজটি উল্লেখযোগ্য অবদান রাখবে।
উন্নয়ন বোর্ডের রাঙ্গামাটি ইউনিট কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী তুষিত চাকমা, বোর্ডের গবেষণা কর্মকর্তা কাইংওয়াই ম্রো, বীর মুক্তিযোদ্ধা রুহুল আমিনসহ স্থানীয় সুশীল সমাজের গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও উপকারভোগী জনসাধারণ এসময় উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.