চট্টগ্রামে বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের শ্রমিক জনতার জুলাই মিছিল
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের এক বছর পূর্তিতে শ্রমিকজনতার জুলাই মিছিল আয়োজন করে বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন, চট্টগ্রাম মহানগরী। চট্টগ্রামের আন্দরকিল্লা মোড় থেকে শুরু হয়ে টেরিবাজার, লালদীঘি, কোতোয়ালি মোড় প্রদক্ষিণ করে নিউ মার্কেট মোড়ে মিছিল শেষ হয়। মিছিলোত্তর শ্রমিক সমাবেশে বক্তব্য রাখেন ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সহ-সাধারণ সম্পাদক ও চট্টগ্রাম মহানগরী সভাপতি এস এম লুৎফর রহমান, সহ-সভাপতি মকবুল আহম্মেদ ভূঁইয়া, সাধারণ সম্পাদক আবু তালেব চৌধুরী , সহ-সাধারন সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার শিহাব উল্লাহ, অধ্যক্ষ আসাদ উল্লাহ আদিল, জামায়াতে ইসলামীর কোতোয়ালী থানার সেক্রেটারি মোশতাক আহমদ, শ্রমিক কল্যাণ মহানগরীর সাংগঠিক সম্পাদক হামিদুল ইসলাম।
মিছিলোত্তর সমাবেশে এস এম লুৎফর রহমান বলেন, ষোলো বছরের আওয়ামী জুলুম-নির্যাতনে অসংখ্য মানুষ শহীদ হয়েছে। হাজার হাজার নাগরিক আহত ও নির্যাতিত হয়েছে। সেইসব জুলুম-নিপীড়নের গণবিস্ফোরণ ছিল চব্বিশের জুলাই। প্রায় দেড় হাজার ছাত্র, শ্রমিক, শিশু ও নাগরিকের জীবনের বিনিময়ে আমরা ফ্যাসিবাদমুক্ত দেশ পেয়েছি। এই রক্তলাল জুলাইয়ে জীবন দিয়েছে আমাদের ভাই দোকান শ্রমিক উমর ফারুক। রক্ত দিয়েছে টগবগে তরুণ ছাত্র আবু সাঈদ, মীর মাহাফুজুর রহমান মুগ্ধ, ফয়সাল আহমদ শান্ত ও ওয়াসিম আকরাম। এই রক্ত ও জীবনের বিনিময়ে আমরা আজ মুক্ত পরিবেশে শ্বাস নিতে পারছি। কিন্তু ফ্যাসিস্ট হাসিনার পলায়নের এক বছর পূর্ণ হলেও অনেক ক্ষেত্রে জুলাইয়ের আকাঙ্ক্ষা পূর্ণ হয়নি। আওয়ামী খুনিদের বিচার হয়নি। শহিদ পরিবার ও আহতদের পুনর্বাসন যথাযথভাবে হয়নি। শ্রমিকজনতার প্রতি বৈষম্য দূর হয়নি। এটা দুঃখজনক বাস্তবতা। অনতিবিলম্বে জুলাইয়ের খুনীদের বিচার করতে হবে। জুলাই সনদ বাস্তবায়ন করতে হবে। শ্রমিকজনতার প্রতি বৈষম্য দূর করতে হবে। সমাজ ও রাষ্ট্রের সর্বস্তরে দুর্নীতি, চাঁদাবাজি, জুলুম, নিপীড়ন বন্ধ করতে হবে। সর্বোপরি, জুলাইয়ের শহিদদের রক্তের ঋণ শোধ করতে একটি বৈষম্যমুক্ত সমাজ ও দেশ গড়ে তুলতে হবে। মিছিলোত্তর সমাবেশে আরো উপস্থিত ছিলেন শ্রমিক নেতা মুহাম্মদ নুরুন্নবী, স.ম.শামীম, মনিরুল ইসলাম মজুমদার, মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম, ইঞ্জি: সাইফুল ইসলাম, আবদুর রহিম মানিকসহ বিভিন্ন সেক্টর নেতৃবৃন্দ।
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.