অসংখ্য কাব্য ও প্রবন্ধের রচয়িতা এবং দৈনিক আজাদীর সাবেক সহযোগী সম্পাদক অরুণ দাশগুপ্ত শনিবার (১০ জুলাই) দুপুরে চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলার ধলঘাট গ্রামে নিজ বাড়িতে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। তার বয়স হয়েছিল ৮৬ বছর।
অরুণ দাশগুপ্ত জন্ম ১৯৩৬ সালে চট্টগ্রামের পটিয়ার ধলঘাটে। বাবা অবিনাশ চন্দ্র দাশগুপ্ত এবং মা হেমপ্রভা দাশগুপ্ত। ব্যক্তিগত জীবনে সংসারী হননি তিনি।
চট্টগ্রামের সাংবাদিক জগতের বটবৃক্ষ অরুণ দাশগুপ্ত সবার কাছে পরিচিত ছিলেন ‘দাদামণি’ হিসেবে। চিরকুমার অরুণ দাশগুপ্ত প্রাচীনতম দৈনিক আজাদীর প্রয়াত সম্পাদক অধ্যাপক মোহাম্মদ খালেদের হাত ধরে ১৯৭৩ সালে যোগ দেন দৈনিক আজাদীতে। ছিলেন পত্রিকাটির সিনিয়র সহকারী সম্পাদক ও সাহিত্য সম্পাদক। তার পরিচালনায় আজাদীর সাহিত্যপাতা ওই সময়ে পাঠককূলে বেশ সমাদৃত ছিল।
কবিতা, চিত্রকলা, ছোটগল্প, সঙ্গীত ক্ষেত্রে তার অবাধ বিচরণ। বৌদ্ধ একাডেমি পুরস্কারসহ অনেক পুরস্কার, সাহিত্য সংস্কৃতি কর্মীদের অগাধ শ্রদ্ধা অর্জনকারী অরুণ দাশগুপ্ত রচিত ও প্রকাশিত গ্রন্থাবলী- রবীন্দ্রনাথের ছয় ঋতুর গান ও অন্যান্য, নবীনচন্দ্র সেন, কবিতা চিন্তা ও অন্যান্য প্রবন্ধ, কবিতার বই- খাণ্ডবদাহন। তার সাংবাদিক জীবনের বর্ণাঢ্য কর্মকাণ্ড তাকে ঈর্ষণীয় স্থান দিয়েছে।
সাংবাদিক অরুণ দাশগুপ্তের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
শনিবার (১০ জুলাই) এক শোক বার্তায় প্রধানমন্ত্রী প্রয়াতের আত্মার শান্তি কামনা করেন এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
কবি অরুণ দাশগুপ্তের মৃত্যুতে একইভাবে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এবং রেলমন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজন।
তার মৃত্যুতে চট্টগ্রামের সাংবাদিক সমাজসহ বিভিন্ন মহলে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। শোক প্রকাশ করেছেন, চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব সভাপতি আলী আব্বাস, সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী ফরিদ, চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়ন (সিইউজে) সভাপতি মোহাম্মদ আলী, সাধারণ সম্পাদক ম শামসুল ইসলামসহ বিভিন্ন ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠান ও সমাজের বিশিষ্ট ব্যক্তিরা তার মৃত্যুতে গভীর শোক ও সমবেদনা জানিয়েছেন।
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.