সীতাকুণ্ডে আগুনে সর্বশান্ত দুই ব্যবসায়ী, ঋণের ভারে দিশেহারা
সীতাকুণ্ডের মধ্যম মহাদেবপুর গ্রামে আগুনে পুড়ে সর্বশান্ত হওয়া দুই ব্যবসায়ী ঋণের ভারে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। আকস্মিক বিপুল ক্ষতির মুখে বাকরুদ্ধ হয়ে দুশ্চিন্তায় দিন কাটাচ্ছেন তারা। উপায়ান্তর না পেয়ে সরকারি-বেসরকারি আর্থিক সহায়তা প্রত্যাশার কথাও জানিয়েছেন এ দুই ব্যবসায়ী।
গত (১ ফেব্রুয়ারি) বুধবার দিবাগত রাত দুইটায় আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে যায় সীতাকুণ্ড পৌরসভার মধ্যম মহাদেবপুর সারেং পাড়া টেকনো ফিলিং স্টেশন সংলগ্ন একটি ফার্ণিচার ও ওষুধের দোকান। আগুনে দুটি দোকানের প্রায় ৮ লাখ টাকার মালামাল পুড়ে যায়। খবর পেয়ে সীতাকুণ্ড সদর ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে প্রায় ২ ঘন্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণ আনতে সক্ষম হয়।
জানা যায়, পুড়ে যাওয়া ফার্ণিচার দোকানের মালিক সারেং পাড়ার জয়নাল আবেদীন ও ওষুধের দোকানের মালিক মিন্টু দাশ।
তাদের মধ্যে ফার্ণিচার ব্যবসায়ী জয়নাল আবেদীনের মাসিক অর্ধ লক্ষাধিক টাকা কিস্তি পরিশোধ করতে হয়। দোকানের সব মালামাল পুড়ে যাওয়ায় তিনি এখন ঋণের টাকা পরিশোধ করা নিয়ে চরম দুশ্চিন্তায় পড়েছেন। একইসাথে ওষুধের দোকানের মালিক পল্লী চিকিৎসক মিন্টু দাশও ব্যবসার ক্ষতি পুষিয়ে নিতে হিমশিম খাচ্ছেন। তিনিও আত্মীয় স্বজনদের কাছ থেকে বিপুল অংকের টাকা ধার নিয়ে ব্যবসায় বিনিয়োগ করেছিলেন।
জয়নাল আবেদীন বলেন, ‘আগুনে পুড়ে যাওয়ার পর আমরা কোন সহায়তা পায়নি। এনজিও থেকে নেয়া কিস্তির টাকা নিয়ে চরম দুশ্চিন্তায় ভুগছি। আমি উপজেলা নির্বাহী অফিসারসহ জনপ্রতিনিধিদের প্রতি অনুরোধ জানাব তারা যেন এই দুর্দিনে আমাকে সহযোগিতা করেন। অন্যথায় পরিবার নিয়ে চরম বেকায়দায় পড়তে হবে আমাকে।’
সীতাকুণ্ড ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার মোঃ নুরুল আলম দুলাল বলেন, আগুনে প্রায় ৪ টি কক্ষ পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এতে আনুমানিক ৮ লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। আগুনের সূত্রপাত বৈদ্যুতিক গোলযোগ বলে ধারণা করা হচ্ছে।
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.