চন্দনাইশে স্বামীর ছোড়া অকটেনের আগুনে দগ্ধ গৃহবধূ নাজমা মারা গেছে। শুক্রবার (২৮ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত ৩টায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। এ ঘটনায় নাজমার স্বামী আবদুল জব্বারকে আজ শনিবার ভোররাতে হাশিমপুর পাহাড়ি এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করেছে।
চন্দনাইশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইমরান আল হোসাইন স্বামীর ছোড়া অকটেনের আগুনে দগ্ধ নাজমা গত রাত ৩টায় চমেক হাসপাতালে মারা যায়। এ ঘটনায় ঘাতক স্বামী আবদুল জব্বারকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শনিবার ভোররাতে হাশিমপুর পাহাড়ি এলাকা তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। শুক্রবার রাতে নাজমা মারা যাওয়ার পরপরই তার ভাই মো. তারেক আব্দুল জাব্বারকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন বলেন তিনি।
শুক্রবার রাত ৮টার দিকে হাশিমপুর ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ড দক্ষিণ হাশিমপুর বাউলিয়াপাড়া গ্রামে পারিবারিক বিষয়ে আবদুল জব্বারের সাথে তার স্ত্রী নাজমা আকতারের ঝগড়া লাগে। এ সময় নাজমা রান্নাঘরে রান্না করছিলেন। ঝগড়ার এক পর্যায়ে স্বামী আবদুল জব্বার বাড়িতে প্লাস্টিক বোতলে রক্ষিত অকটেন এনে রান্নাঘরে স্ত্রীর দিকে ছুড়ে মারে। এ সময় চুলার আগুন অকটেনে লেগে আগুন জ্বলে উঠে। এতে নাজমা আকতারের শরীরের বিভিন্ন অংশ আগুনে ঝলসে যায়। বাড়ির সদস্যরা নাজমা আকতারকে দ্রুত দোহাজারী হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাকে চমেক হাসপাতালে প্রেরণ করে। চমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ৩টায় নাজমা মারা যায়।
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.