আজ ঈদ মির্জারখীল দরবার অনুসারীদের

২,০৭৭

সৌদি আরবের সাথে মিল রেখে চট্টগ্রামের অর্ধ-শতাধিক গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ আজ মঙ্গলবার (২০ জুলাই) ঈদ-উল-আযহা উদযাপন করছে। সাতকানিয়ার মির্জারখীল দরবার শরীফের অনুসারীরা প্রতি বছর সৌদি আরবের সাথে মিল রেখে এবারও একদিন আগে ঈদ-উল-আযহার নামাজ আদায় ও পশু কোরবানি করছেন।

আজ মঙ্গলবার (২০ জুলাই) সকাল নয়টায় দরবার শরীফের মসজিদে ঈদের নামাজ অনুষ্ঠিত হয়।

দরবার শরীফের পীর মাওলানা মোহাম্মদ আরেফুল হাই এর বড় ছেলে মুফতি মাওলানা মোহাম্মদ মকছুদুর রহমান ঈদের নামাজে ইমামতি করেন।

দরবার শরীফের অনুসারীরা সৌদি আরবের সাথে সঙ্গতি রেখে রোজা পালন এবং ঈদ-উল-ফিতরও একদিন আগে পালন করে থাকেন।

অন্যান্য বছর চট্টগ্রামের বিভিন্ন উপজেলা ছাড়াও দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে দরবার শরীফের অনুসারীরা ঈদের নামাজ আদায়ের জন্য দরবার শরীফে আসতেন কিন্তু করোনার কারণে এবার বাইরের অনুসারীদেরকে নিজ নিজ এলাকায় ঈদের নামাজ আদায়ের জন্য বলা হয়েছে। করোনা পরিস্থিতির কথা বিবেচনা করে তাদের ঈদের নামাজ আদায়ের জন্য দরবার শরীফে আসতে নিষেধ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন মির্জারখীল উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক ও দরবার শরীফের মুরিদ বজলুল করিম চৌধুরী।

মির্জারখীল দরবার শরীফ সূত্র মতে, সাতকানিয়ার মির্জারখীল, এওচিয়ার গাটিয়াডেঙ্গা, মাদার্শা, খাগরিয়ার মৈশামুড়া, পুরানগড়, চরতির সুইপুরা, চন্দনাইশের কাঞ্চননগর, হারালা, বাইনজুরি, কানাই মাদারি, সাতবাড়িয়া, বরকল, দোহাজারী, জামিরজুরি, বাঁশখালীর কালিপুর, চাম্বল, শেখেরখীল, ছনুয়া, আনোয়ারার বরুমছড়া, তৈলারদ্বীপ, লোহাগাড়ার পুটিবিলা, কলাউজান, বড়হাতিয়া, এবং পটিয়া, বোয়ালখালী, হাটহাজারী, সন্দ্বীপ, রাউজান ও ফটিকছড়ির কয়েকটি গ্রামসহ চট্টগ্রামের অর্ধশতাধিক গ্রামের কিছু সংখ্যক মানুষ আজ ঈদ উল আযহা উদযাপন করছে।

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.