ফটিকছড়িতে সুপারি মজানোর গর্তে নেমে প্রবাসিসহ তিনজনের মৃত্যু
আহত আরও ২জন চিকিৎসাধীন
চট্টগ্রামের ফটিকছড়িতে সুপারি মজানোর গর্তে নেমে আহত বখতিয়ার উদ্দিন তহিদ (৪০) নামে এক প্রবাসির মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় এ পর্যন্ত তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) সকালে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
এর আগে গত ১ নভেম্বর (শুক্রবার) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার পাইন্দং ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের হাজী গুন্নুমিয়া সওদাগরের বাড়িতে সুপারি মজানোর গর্তে নেমে আহত হন বখতিয়ার। এ সময় শহিদুল্লাহ ও শফি নামে দুই ভাইয়ের মৃত্যু হয়েছিল। সেদিন তহিদ, শফি ও ফারুক নামে আরও তিনজন আহত হন। তারা নগরীর চমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। তাদের মধ্যে তহিদ বৃহস্পতিবার চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
নিহত তহিদ উপজেলার পশ্চিম হাইদচকিয়া গ্রামের গুন্নু সওদাগরের বাড়ির এজমার মিয়ার ছেলে। তিনি ওমান প্রবাসী ছিলেন। স্থানীয় ইউপি সদস্য মহিন উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
জানা যায়- গত ১ নভেম্বর (শুক্রবার) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার পাইন্দং ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের হাজী গুন্নুমিয়া সওদাগরের বাড়িতে সুপারি মজানোর গর্তে নামে মো: শফি ও মো: শহিদ। তারা সেখানে গুরুতর আহত হয়ে জ্ঞান হারানোর পর স্থানীয়রা এসে তাদের উদ্ধারের চেষ্টা করে।
উদ্ধারের কিছুক্ষণ পরেই তারা দুই ভাইয়ের মৃত্যু হয়। পরে এ ঘটনায় উদ্ধার করতে আসা পাশ্ববর্তীরাও আহত হয়ে পড়েন। আহত অবস্থায় ৭দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর তৌহিদের মৃত্যু হয়। তৌহিদ প্রবাসে থাকতো। সেখান থেকে কিছুদিনের জন্য ছুটিতে এসেছিল সে। ছুটি কাটিয়ে আবারো প্রবাসে চলে যাওয়ার কথা থাকলেও এবার একেবারেই চলে গেলেন পরপারে। মর্মান্তিক এ ঘটনায় আহত আরও ২জন চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ফটিকছড়ি ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন কর্মকর্তা মো: কামাল উদ্দিন বলেন- খবর পেয়ে আমাদের টিম দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে ১জন মহিলা ও ৫জন পুরুষকে উদ্ধার করে দ্রুত মেডিক্যাল এ প্রেরণ করেছে। একটি ৭-৮ফিট গর্তে সুপারি রাখা হয়েছিল। সে সুপারি তুলতে গিয়েই মূলত এ ঘটনা ঘটেছে। গর্তটিতে সুপারির গন্ধে অতিরিক্ত মিথেন গ্যাস তৈরী হয়। ফলে, অক্সিজেনের অভাবে কেউ কেউ জ্ঞান হারিয়ে ফেলে আর কেউ অসুস্থ হয়ে পড়ে।
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.