বন্দরে ১৪ বছরের পুরনো বিপজ্জনক দাহ্য রাসায়নিক খালাস
চট্টগ্রাম বন্দরে ১৪ বছরের পুরনো আমদানি করা বিপজ্জনক দাহ্য রাসায়নিকের চারটি কনটেইনার নিলামে বিক্রির পর খালাস করা হয়েছে। আজ বুধবার দুপুরে গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউস।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ১ অক্টোবর বন্দর কাস্টমসের এক যৌথ সভায় চার কন্টেইনারে থাকা ৯৩ মেট্রিক টন ‘অতি দাহ্য’ সোডিয়াম গ্লাইসেরোলেট (Sodium glycerolate) দ্রুত সরানো না হলে চট্টগ্রাম বন্দরের অবস্থা ‘লেবাননের বৈরুতের মত হতে পারে’ বলে সতর্ক করেন বন্দর চেয়ারম্যান। সভা শেষে এনবিআর চেয়ারম্যান বিপজ্জনক পণ্যের চালানটি নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জগুলো চিহ্নিত করে দ্রুত খালাসের ব্যবস্থা নিতে কাস্টমস সদস্য ও কমিশনারকে নির্দেশ দেন। এনবিআর চেয়ারম্যানের নির্দেশনার পর কাস্টমস হাউস চট্টগ্রাম নিলাম কমিটির সঙ্গে জরুরি সভা করে ৪১ লাখ টাকা রাজস্ব আদায় করে নিলাম দরদাতা মেসার্স এস এ ট্রেডিং অ্যান্ড কোংকে পণ্য চালানটি খালাস দেয়।
সোডিয়াম গ্লাইসেরোলেটের ওই চালান ২০১২ সালে দেশে এলেও আইনগত জটিলতায় সেগুলো চট্টগ্রাম বন্দরে পড়ে থাকে। পরে কয়েক দফা নিলামের উদ্যোগ নিলেও বিভিন্ন জটিলতার কারণে চট্টগ্রাম কাস্টমের দায়িত্বরত কমিশনাররা এর নিষ্পত্তি করতে পারেননি।
চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসের উপকমিশনার সাইদুল ইসলাম জানান, ‘চট্টগ্রাম বন্দরের ইয়ার্ডে গত ১২ বছর ধরে চারটি কনটেইনারে ৯৩ মেট্রিক টন অতি দাহ্য সোডিয়াম গ্লাইসেরোলেট (এইচএসকোড ২৯০৫৪৫০০) পড়ে ছিল। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যানের হস্তক্ষেপে ও চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেষ্টায় গত ২৭ অক্টোবর কনটেইনারগুলো নিলামে বিক্রির পর খালাস দেয়া হয়।
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.