৩ নভেম্বর চসিক মেয়রের শপথ নিবেন শাহাদাত
সকল জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের-চসিক মেয়র হিসেবে আগামি ৩ নভেম্বর শপথ নেবেন বিএনপি নেতা ডা. শাহাদাত হোসেন। তাই আগামী দুদিনের মধ্যে শাহাদাতের সম্পত্তির বিবরণ সম্বলিত হলফনামা স্থানীয় সরকার বিভাগে পাঠাতে বলা হয়েছে। এছাড়া আদালতের কোনো স্থগিতাদেশ বা আইনগত জটিলতা আছে কিনা তাও জরুরিভিত্তিতে জানতে চাওয়া হয়েছে চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে ।
আজ বৃহস্পতিবার স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মাহবুবা আইরিন স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে এ তথ্য জানানো হয়। মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের সম্মেলন কক্ষে শপথ পাঠ করাবেন স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফ।
স্থানীয় সরকার বিভাগের জারি করা ওই অফিস আদেশে বলা হয়েছে, ৩ নভেম্বর বেলা সাড়ে ১১টায় শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এদিকে পৃথক অফিস আদেশে সিটি করপোরেশনের নতুন মেয়র শাহাদাত হোসেনকে সম্পত্তির বিবরণের হলফনামা জমা দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে। চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম শপথ গ্রহণের সময় নির্ধারণের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
২০২১ সালের ২৭ জানুয়ারি চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের নির্বাচনে রেজাউল করিম চৌধুরী ৩ লাখ ৬৯ হাজার ২৪৮ ভোট পেয়ে মেয়র নির্বাচিত হন। তাঁর প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির শাহাদাত হোসেন ৫২ হাজার ৪৮৯ ভোট পান। নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগে ওই বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালে রেজাউল করিমসহ নয়জনকে বিবাদী করে মামলা করেন নগর বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক শাহাদাত হোসেন। নির্বাচনে কারচুপি প্রমাণ পাওয়ায় ১ অক্টোবর শাহাদাত হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করে রায় দেন আদালত। ১০ দিনের মধ্যে প্রজ্ঞাপন জারি করতেও সরকারকে নির্দেশ দেন। ৮ অক্টোবর প্রজ্ঞাপন সংশোধন করে বিজ্ঞপ্তি জারি করে নির্বাচন কমিশন। নির্বাচন কমিশনের চিঠি পাওয়ার পর করণীয় জানতে চেয়ে আইন মন্ত্রণালয়ের মতামত চায় স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়। কারণ ১৯ আগস্ট স্থানীয় সরকার (সিটি করপোরেশন) আইন সংশোধন করে রেজাউল করিম চৌধুরীসহ দেশের ১২টি সিটি করপোরেশনের মেয়রদের অপসারণ করে অন্তর্বর্তী সরকার। একই দিন চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার তোফায়েল ইসলামকে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের প্রশাসক নিয়োগ দেওয়া হয়।
এই অবস্থায় আইনি জটিলতা তৈরি হবে কিনা তা জানতে চেয়ে আইন মন্ত্রণালয়ের মতামত চাওয়া হয়। আইন মন্ত্রণালয় থেকে ডা. শাহাদাত হোসেনের শপথের পক্ষে মতামত দিয়ে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠানো হয়। এরপর ডা. শাহাদাত হোসেনের শপথের সিদ্ধান্ত নেয় স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়। ১৭ অক্টোবর স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় ১৯ আগস্ট মেয়রদের অপসারণের প্রজ্ঞাপনের সংশোধন করে একটি সংশোধিত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মাহবুবা আইরিন স্বাক্ষরিত সংশোধিত প্রজ্ঞাপনে তিন নম্বর ক্রমিক বিলুপ্ত করা হয়েছে। তিন নম্বরে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র ছিল।
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.