চট্টগ্রামের ৪,৩৮৮ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে দেওয়া হবে জরায়ু ক্যান্সার টিকা
সারাদেশে মতো ২৪ অক্টোবর থেকে চট্টগ্রামে শুরু হচ্ছে জরায়ুমুখী ক্যান্সার প্রতিরোধেক টিকা দান কর্মসূচি। চট্টগ্রামের ৪ হাজার ৩৮৮টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বহির্ভূত ৩ লাখ ৪০ হাজার ২০৮ জনকে এ ক্যাম্পেইনের আওতায় আনা হবে।
আজ মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) দুপুরে সিভিল সার্জন কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, পঞ্চম শ্রেণি থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত ১০ থেকে ১৪ বছর বয়সী কিশোরীদের এ কার্যক্রমের আওতায় আনা হচ্ছে।
চট্টগ্রামের ৪ হাজার ৩৮৮টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ৩ লাখ ২৯ হাজার ২৮৯ জন কিশোরী এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বহির্ভূত ১০ হাজার ২১৯ কিশোরীকে এ টিকা দেওয়া হবে। সপ্তাহে ছুটির দিন ছাড়া প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে বিকেল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত ১৮ দিন এ কার্যক্রম চলবে।
চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. জাহাঙ্গীর আলম, ক্যান্সার আক্রান্ত নারীদের মধ্যে একটি বৃহত্তর অংশ জরায়ুমুখী ক্যান্সারে আক্রান্ত। নারীদের এ ক্যান্সার প্রতিরোধে আমাদের কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে। টিকাদান কর্মসূচি নিয়ে ভীতি ছড়ানো হচ্ছে। কিন্তু আসলে এতে কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই। আর যদি কেউ অসুস্থ হয়েও থাকে সে ক্ষেত্রে আমাদের মেডিক্যাল টিম প্রস্তুত আছে। আশা করছি এ কার্যক্রম আমরা সফলভাবে সম্পন্ন করতে পারবো। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সিভিল সার্জন কার্যালয়ের এমওসিএইচ নাওশাদ খান, ডা. এফএম জাহিদুল ইসলাম।
এছাড়া জরায়ুমুখ ক্যান্সার প্রতিরোধে কিশোরীদের হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাস (এইচপিভি) টিকা প্রদানের বিশেষ ক্যাম্পেইন চলবে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) এলাকায়। আগামী ২৪ অক্টোবর থেকে ১০ দিনব্যাপী ক্যাম্পেইনে এইচপিভির প্রথম ডোজ টিকা পাবে নগরের ১০ থেকে ১৪ বছরের বয়সী এক লাখ ৩৬ হাজার কিশোরী।
মঙ্গলবার সকালে টিকার ক্যাম্পেইন উপলক্ষ্যে মেমন জেনারেল হাসপাতাল মিলনায়তনে এডভোকেসি সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম।
তথ্য অনুসারে, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন এলাকা ছাড়াও ১৫ উপজেলার তিন লাখ ৫১ হাজার ৮৪৮ জন কিশোরীকে এইচপিভি টিকা দেওয়া হবে। এতে ৪ হাজার ৩৮৮টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ৫ম থেকে ৯ম শ্রেণির ৩ লাখ ৪৪ হাজার ৩৩০ জন ও স্কুল বহির্ভূত কমিউনিটির ৭ হাজার ৫১৮ জন কিশোরী এ টিকা পাবে।
এছাড়া, এ টিকার ক্যাম্পেইন চলবে আগামী ২১ নভেম্বর পর্যন্ত। ক্যাম্পেইন চলাকালীন শুক্রবার ও সরকারি ছুটির দিন ছাড়া প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে বিকাল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত সরকারি হাসপাতাল, স্থায়ী ও অস্থায়ী টিকাদান কেন্দ্রে গিয়ে কিশোরীরা এ টিকা নিতে পারবে।
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.