করোনায় মারা গেলেন ‘গরিবের ডাক্তার’ সৈয়দ মোস্তফা কামাল
করোনার কাছে হার মানলেন চট্টগ্রামের প্রখ্যাত হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. সৈয়দ মোস্তফা কামাল।
মঙ্গলবার (১২ জুলাই) রাত ১০টার দিকে ঢাকার বাংলাদেশ স্পেশালাইজড (বিএসবি) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি ইন্তেকাল করেন (ইন্নাল্লিাহে … রাজেউন)।
ডা. সৈয়দ মোস্তফা কামাল চট্টগ্রামের চন্দনাইশের দোহাজারী পৌরসভার জামিজুরী গ্রামের স্কুল শিক্ষক আবু তাহেরের মেজ ছেলে। চট্টগ্রামের ফিরিঙ্গিবাজারের দোভাষ পরিবারের জামাতা ছিলেন তিনি।
করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর গত গত ২৭ জুন উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকায় নেয়া হয়। ঢাকার বিএসবি হাসপাতালের আইসিইউতেই চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি। তিনি পরিচিত ছিলেন ‘গরিবের ডাক্তার’ নামে।
৭০ বছর বয়সী এই চিকিৎসক ছিলেন চট্টগ্রামের দোহাজারি-জামিজুরির মানুষ বিশেষ করে দরিদ্র ও অসহায় মানুষের খুবই জনপ্রিয়। চিকিৎসা পেশার শুরু থেকে নিজ গ্রামে বিনামূল্যে চিকিৎসাসেবা দিয়েছেন। প্রায় প্রতি শুক্রবার যেতেন গ্রামে। রোগীরা অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করতেন তার জন্য।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ হিসেবে কর্মরত ছিলেন ডা.মোস্তফা কামাল। কাজ করেছেন ঢাকার পিজি হাসপাতালেও। সরকারি হাসপাতালের চাকরি থেকে অবসর নেওয়ার পর তিনি যোগ দেন বেসরকারি ইউএসটিসি হাসপাতালে।
গত বছর করোনার সংক্রমণ শুরু হওয়ার পর ডা. মোস্তফা কামাল নিজেকে নিয়োজিত করেন সেবাদানে। নতুন রোগ, ঢাকার বিশেষজ্ঞ ও বন্ধু চিকিৎসক-গবেষকদের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রেখে রোগীর সঠিক চিকিৎসাসেবা দিতে আপ্রাণ চেষ্টা করেছেন। অনলাইনে চিকিৎসাসেবায় সহযোগী হিসেবে নিয়েছেন নিজের ছেলে সদ্য পাশ করা ডাক্তার এসএম তাজওয়ার তাহির আলিফকেও। তার এক ছেলে ও এক মেয়ের দুজনেই চিকিৎসক।
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.