দুই জাহাজে আগুনের ঘটনায় ৯ সদস্যের তদন্ত কমিটি
১২ ঘন্টা পর আগুন নিয়ন্ত্রণে
কক্সবাজারের কুতুবদিয়ায় তরল পেট্রোলিয়াম গ্যাসবাহী (এলজিপি) দুটি জাহাজে আগুন লাগার ঘটনায় নয় সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ।
রোববার (১৩ অক্টোবর) এ কমিটি গঠন করা হয়।
চটগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব মো. ওমর ফারুক জানান, শনিবার রাতে কুতুবদিয়া চ্যানেলে বঙ্গোপসাগরের বহির্নোঙরে লাইটার জাহাজ সুফিয়া এবং মাদার ভেসাল ক্যাপ্টেন নিকোলাস নামে দুটি জাহাজে আগুন লাগার কারণ অনুসন্ধানে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এসএম মনিরুজ্জামান স্বাক্ষরিত নয় সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিতে প্রধান করা হয়েছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সদস্য (হারবার ও মেরিন) কমডোর এম ফজলার রহমানকে। এ ছাড়াও কমিটিতে বিভিন্ন বিশেষজ্ঞ তথা গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যদের রাখা হয়েছে। পাঁচ কর্মদিবসের মধ্যে কমিটিকে রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে।’
তদন্ত কমিটির প্রধান কমডোর এম ফজলার রহমান বলেন, ‘দুটি জাহাজ দুর্ঘটনার কারণ তদন্তে গঠিত কমিটি কাজ শুরু করেছে। আমরা ইতোমধ্যে ওইসব জাহাজ থেকে উদ্ধার হওয়া ক্রুদের সঙ্গে কথা বলেছি। তাদের বক্তব্য নিয়েছি। সোমবার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করবো। আরও এ সংশ্লিষ্ট যারা আছেন তাদের সঙ্গেও কথা বলবো।’
বন্দর সূত্রে জানা যায়, শনিবার রাত ১২টা ৪২ মিনিটে সাগরের কুতুবদিয়া এলাকায় এলপিজি গ্যাস খালাসের সময় দুটি জাহাজে আগুন লাগে। এলপিজি মাদার ভেসাল ক্যাপ্টেন নিকোলাস থেকে লাইটার জাহাজ সুফিয়াতে হস্তান্তর করা হচ্ছিল। এমন সময় মাদার ভেসাল ক্যাপ্টেন নিকোলাসে আগুন লাগে। পরে আগুন লাইটার জাহাজ সুফিয়াতে ছড়িয়ে পড়ে। তবে নিকোলাসের আগুন কয়েক ঘণ্টার মধ্যে নেভানো গেলেও সোফিয়ার আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে ১২ ঘণ্টা সময় লেগে যায়।দুর্ঘটনার সময় জাহাজের নাবিকরা পানিতে ঝাঁপ দিয়েছেন। পরে নৌবাহিনী আর কোস্টগার্ড তাদের উদ্ধার করে।
দুই সপ্তাহের ব্যবধানে এ নিয়ে বাংলাদেশের জলসীমায় জ্বালানিবাহী চারটি জাহাজে আগুন লাগল। এর আগে গত ৩০ সেপ্টেম্বর সকাল পৌনে ১১টার দিকে চট্টগ্রাম বন্দরের ডলফিন জেটিতে বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের মালিকানাধীন ‘বাংলার জ্যোতি’ নামে একটি অয়েল ট্যাংকারে বিস্ফোরণের পর আগুন লাগে। ওই ঘটনায় তিন জনের মৃত্যু হয়। এরপর ৫ অক্টোবর চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে ‘বাংলার সৌরভ’ নামে আরেকটি তেলবাহী জাহাজে আগুন লাগে। দুটি জাহাজই রাষ্ট্রায়ত্ত কোম্পানি বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের মালিকানাধীন।
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.