বন্ধুর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কের সন্দেহে প্রেমিকাকে খুন
বন্ধুর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কের সন্দেহে পোশাক কর্মী প্রেমিকাকে খুন করে প্রেমিক। খুনের শিকার মরিয়ম আক্তার সামিরার (১৮) বাড়ি পটুয়াখালী সদরে। তিনি নগরীর একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করতেন। গতকাল শুক্রবার রাত ৯টার দিকে নগরীর পাঁচলাইশের হাদুমাঝির পাড়া মুছা বিল্ডিংয়ের সামনে উপর্যুপুরি ছুরিকাঘাতে তাকে হত্যা করা হয়। হত্যার ছয় ঘন্টার মধ্যে শুক্রবার রাত তিনটার দিকে রাঙ্গুনিয়া উপজেলার চন্দ্রঘোনার লিচুবাগান এলাকা থেকে সামিরার প্রেমিক মো. তারেক (২০) নামে যুবককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তারেকের বাড়ি ভোলায়। তিনি পেশায় নির্মাণ শ্রমিক।
আজ শনিবার দুপুরে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) সদর দপ্তরে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (মিডিয়া) কাজী মো. তারেক আজিজ।
তিনি জানান,শুক্রবার রাত ৯টার দিকে পাঁচলাইশের হাদু মাঝির পাড়া এলাকায় সামিরাকে মোবাইলে কল করে বাসা থেকে ডেকে এনে গলায় ছুরিকাঘাত করে খুন করেন তারেক। তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। কিন্তু গত ছয় মাস ধরে তারেকের সঙ্গে সামিরা যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়। শুক্রবার রাত ৮টার দিকে তারেক সামিরাকে কল দিয়ে দেখা করতে বলেন।
তিনি জানান, সামিরা তারেকের সঙ্গে দেখা করতে এলে তাদের মধ্যে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বাকবিতণ্ডতা হয়। এর পর তারেক ছুরিকাঘাত করে সামিরাকে খুন করে তার নানা বাড়ি রাঙ্গুনিয়ায় পালিয়ে যান। সিসিটিভি ফুটেজে তারেককে শনাক্ত করে অভিযান চালিয়ে রাত ৩টার দিকে লিচুবাগান এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তার দেখানো মতে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ছুরিটি উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় ভিকটিমের ভাই বাদী হয়ে পাঁচলাইশ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছে। তার বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’
এদিকে পাঁচলাইশ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. সোলায়মান জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারেক আমাদের জানিয়েছেন, তার এক বন্ধুর সঙ্গে সামিরার সম্পর্ক ছিল। এজন্য সামিরা তার সঙ্গে সম্পর্ক বিচ্ছেদ করেছে। তাই সে তাকে খুন করেছে। তবে আমরা এরকম কোনো কিছু খুঁজে পাইনি। হত্যাকাণ্ডে ব্যবহার করা ছুরি সে ভাসমান একটি ভ্যানগাড়ি থেকে কিনেছে বলে আমাদের জানিয়েছে। সেটা আমরা উদ্ধার করেছি।
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.