আনোয়ারায় তরুণীকে স্বামী খুন করে লাশ ঝোপে ফেলে দেয়

১৭

গতকাল বৃহস্পতিবার চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলায় পাহাড়ের ঝোপ থেকে উদ্ধার করা তরুণীর লাশের পরিচয় মিলেছে। ফিঙ্গারপ্রিন্টের মাধ্যমে তাঁর পরিচয় উদ্ধার করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।

জানা গেছে, চট্টগ্রাম নগরীর বলুয়ার দিঘীর পাড় এলাকার আবুল কালাম সওদাগর কলোনির বাসিন্দা কামাল উদ্দিনের মেয়ে আমেনা বেগম। তার গ্রামের বাড়ি কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার নাগেরকান্দি গ্রামে। অন্যদিকে ওই নারীর স্বামী দুবাইপ্রবাসী ইয়াসিন আরাফাত। তার বাড়ি চট্টগ্রাম নগরীর ডবলমুরিং থানা এলাকায়।

এদিকে পুলিশ জানিয়েছে, নিহত নারীকে তার স্বামী খুন করে লাশ পাহাড়ের ঝোপে ফেলে দিয়ে দুবাই পালিয়ে গেছে। পুলিশের ভাষ্য, কুকুর বা শেয়াল লাশের কিছু অংশ খেয়ে ফেলায় এবং মরদেহ পচে যাওয়ায় পরিচয় শনাক্ত করা যাচ্ছিল না। এ অবস্থায় পিবিআইয়ের ক্রাইম সিন ইউনিটকে পরিচয় শনাক্তের ভার দেওয়া হয়।

এর আগে বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) দুপুরে আনোয়ারা উপজেলার বৈরাগ ইউনিয়নের মোহাম্মদপুর গ্রামে একটি পাহাড় থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে পুলিশ। পরে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ চট্টগ্রাম মেডিকেল মর্গে পাঠানো হয়েছিল।

পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) চট্টগ্রাম জেলার পরিদর্শক শাহাদাত হোসেন বলেন, পিবিআই চট্টগ্রাম জেলার ক্রাইমসিন টিম উদ্ধার করা লাশের ফিঙ্গারপ্রিন্ট সংগ্রহ করে লাশের পরিচয় শনাক্ত করেছে। পেটে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে তাকে খুন করে গুমের জন্য ওই টিলার ঝোপের মধ্যে লাশ ফেলে রাখা হয়েছিল বলে ধারণা করছে পিবিআই।

আনোয়ারা থানা পুলিশ জানায়, আনোয়ারার বৈরাগ ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডে চায়না ইকোনমিক জোনের বরাদ্দ করা এলাকায় পরিত্যক্ত একটি ব্রিকফিল্ডের পাশে টিলার ঝোপ থেকে ওই নারীর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। সম্ভবত দু-তিন দিন আগে ওই নারীর মৃত্যু হয়েছে। লাশের কিছু অংশ শেয়ালে খেয়ে ফেলেছে। লাশ উদ্ধারের পর ময়নাতদন্তের জন্য মৃতদেহ চট্টগ্রাম মেডিকেল মর্গে পাঠানো হয়েছিল।

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.