দেশে ফিরেছেন মিজানুর রহমান আজহারী

বাংলাদেশের জনপ্রিয় ইসলামি আলোচক মাওলানা মিজানুর রহমান আজহারী মালয়েশিয়া থেকে দেশে ফিরেছেন । নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টের মাধ্যমে এ তথ্য জানিয়েছেন তিনি নিজেই।

বুধবার (২ অক্টোবর) সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে আজহারী লিখেছেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ, সালামাতে প্রিয় মাতৃভূমিতে এসে পৌঁছালাম। পরম করুণাময় এই প্রত্যাবর্তনকে বরকতময় করুন। দুআর নিবেদন।’

এর আগে গত ৬ জুলাই ফেসবুক লাইভে তিনি বলেন, অনেকে আমাকে মেসেজ করে ও ব্যক্তিগতভাবে ফোন করে জানতে চেয়েছেন আমি কবে দেশে ফিরবো। আমি তাদের বলতে চাই, আমি দ্রুতই দেশে ফিরবো। আপনাদের সঙ্গে দেখা করার অপেক্ষায় রয়েছি আমি নিজেও। শিগগির সাম্য, মানবিকতার মুক্ত-স্বাধীন, বাংলাদেশে আমি আপনাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে চাই।

দীর্ঘ ওই ভিডিওবার্তায় তিনি বলেন, তাজা রক্তের মাধ্যমে যারা আন্দোলনকে সফল করেছেন সেই শহীদদের শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি ও রূহের মাগফিরাত কামনা করছি। আহতদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করছি। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের যারা নেতৃত্ব দিচ্ছেন এবং এখনো কষ্ট করে যাচ্ছেন তাদের শুভেচ্ছা জানাই। আন্দোলন সফলের পর দেশে যেসব পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে এ নিয়ে সবাইকে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। তিনি বলেছেন, দায়িত্বশীল আচরণ করতে পারলেই সঠিকভাবে বিজয় উদযাপন হবে।

সংখ্যালঘুদের প্রতি অন্যায় না করারও আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। তিনি বলেন, বর্তমানে অনেকে সুযোগ নিয়ে সংখ্যালঘুদের উপসনালয় ও স্থাপনায় চালাবে এবং ইসলামপন্থী ও মাদরসার ছাত্রদের ওপর দায় চাপানোর চেষ্টা করবে। তাই যারা এই বিজয়ে খুশি নয় তাদের ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করতে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। তিনি বিশেষ করে মাদরাসার ছাত্রদের বলেন, আপনারা সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করুন। কেউ যেন তাদের ওপর আক্রমণ করতে না পারে যে বিষয়ে সতর্ক ও সচেতন থাকুন। এসব ক্ষেত্রে যদি আমরা ভুল করে ফেলি তাহলে বাংলাদেশে ইসলাম অনেক পিছিয়ে পড়বে।

উল্লেখ্য, ২০২০ সালের জানুয়ারি মাসে লক্ষ্মীপুরে তার এক মাহফিলে ১২ জন ভারতীয় নাগরিকের ধর্মান্তরের ঘটনা আলোচনার সৃষ্টি করেছে। লক্ষীপুরের রামগঞ্জ উপজেলার পানপাড়া গ্রামে আজহারীর মাহফিলে একই পরিবারের মোট ১২ জন সদস্য এক সঙ্গে ইসলাম গ্রহণ করা আলোচিত এই হিন্দু পরিবারটি এসেছিল ভারত থেকে। বাংলাদেশের পুলিশ ১২ জনকেই আটক করে এবং তাদের ভারতে ফেরত পাঠানো হয়েছিল। অপরদিকে ব্যাপক জনপ্রিয়তা ও লোকসমাগমের কারণে বিভিন্ন জায়গায় তাকে ওয়াজ-মাহফিল করতে বাধা দেয়া হয়েছিল। তখন সরকারের ধর্ম প্রতিমন্ত্রী আজহারীকে জামায়াত-সংশ্লিষ্ট বলে অভিযোগ তোলেন যা নিয়ে তখন ব্যাপক হইচই হয়েছিল। সব মিলিয়ে ধারণা করা হয়েছিল নিরাপত্তাজনিত কারণে মিজানুর রহমান আজহারী দেশ ছেড়ে যেতে বাধ্য হয়েছিলেন।

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.