ভারতে তিন হাজার টন ইলিশ রপ্তানির অনুমোদন

আসন্ন দুর্গাপূজা উপলক্ষে ভারতে তিন হাজার টন ইলিশ রপ্তানির অনুমোদন দিয়েছে সরকার। শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে আরও বলা হয়েছে, রপ্তানিকারকদের আবেদনের বিপরীতে নির্ধারিত শর্তাবলী পূরণ সাপেক্ষে তিন হাজার টন ইলিশ রপ্তানির অনুমোদন দেওয়া হলো। সংশ্লিষ্ট আবেদনকারীকে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ আগামী ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ তারিখ দুপুর ১২টার মধ্যে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় বরাবর (উপসচিব, রপ্তানি-২ শাখা, কক্ষ নং ১২৭, ভবন নং ৩, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ সচিবালয়) আবেদন করার জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো। উল্লিখিত সময়সীমার পর প্রাপ্ত আবেদন গ্রহণযোগ্য হবে না।

এর আগে দেশে সরবরাহ বাড়াতে অন্তর্বর্তী সরকার এ বছর ভারতে ইলিশ রপ্তানি না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। এমন অবস্থায় ভারতের পক্ষ থেকে ইলিশ পাঠানোর আবদার করে বাংলাদেশের কাছে চিঠি পাঠানো হয়।

ভারতীয় ব্যবসায়ীদের চিঠিতে বলা হয়, ১৯৯৬ সালের পর থেকে প্রতিবছর গড়ে ৫ হাজার টন ইলিশ বাংলাদেশ থেকে ভারতে রপ্তানি হচ্ছিল। তবে ২০১২ সালের পর থেকে রপ্তানি অজ্ঞাত কারণে বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। আবার গত পাঁচ বছর ধরে কেবল দুর্গাপূজাকে কেন্দ্র করে বিশেষ বিবেচনায় বাংলাদেশ থেকে ভারতে ইলিশ যাচ্ছিল। সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় বাংলাদেশ থেকে ইলিশ আমদানির সুযোগ চেয়েছিলেন ভারতের ব্যবসায়ীরা।

এ খবরে হিন্দুস্তান টাইমস বলছে, গত ৫ বছর ধরে ইলিশ আমদানি হয়েছে বাংলাদেশ থেকে। এবারও সেই রীতি মেনে ভারতে ইলিশ পাঠানোর জন্য বাংলাদেশ সরকারের উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেনের কাছে আবেদন করেছে ফিস ইমপোর্টার অ্যাসোসিয়েশন।

প্রসঙ্গত; গণআন্দোলনে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ও অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্বগ্রহণের পর মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতারের এক বক্তব্য ঘিরে ভারতে ইলিশ রপ্তানি নিয়ে সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আলোচনা হচ্ছিল।

গত ১১ অগাস্ট সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ফরিদা আখতার বলেন, দেশের মানুষের চাহিদা মিটিয়ে তারপর ইলিশ মাছ বিদেশে রপ্তানি করা হবে। তিনি বলেছিলেন, “দেশের মানুষ যাতে ইলিশ মাছ পায় এবং দাম কমে, সেই উদ্যোগ নেওয়া হবে। দেশের মানুষ ইলিশ পাবে না, আর রপ্তানি হবে সেটা হতে পারে না।

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.