চট্টগ্রামে এলো আমেরিকা ও চীনের ভ্যাকসিন
১৩ জুলাই মঙ্গলবার থেকে ভ্যাকসিন প্রয়োগ শুরু
চট্টগ্রামে এসেছে আমেরিকার তৈরী করোনাভাইরাস প্রতিষেধক মর্ডানা এমআরএনএ ও চীনের তৈরী সিনোফার্মের ১ লাখ ৮৪ হাজার ডোজ কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন।
রবিবার (১১ জুলাই) সকাল ৭ টায় মর্ডনা ও সিনোফার্ম মিলে মোট ১২০ কার্টন ভ্যাকসিন গ্রহণ করেন চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি। এটি চট্টগ্রামে আসা টিকার চতুর্থ চালান।
জেলা সিভিল সার্জন জানান, মর্ডানার প্রতি কার্টুনে ৪’শ ভায়াল ও প্রতি ভায়ালে ১০ ডোজ করে মোট ১ লাখ ৫ হাজার ৬’শ ডোজ এবং সিনোফার্মের প্রতি কার্টুনে ৪’শ ভায়াল ও প্রতি ভায়ালে ২ ডোজ করে মোট ৭৮ হাজার ৪’শ ডোজ ভ্যাকসিন রয়েছে। ভ্যাকসিনগুলো সিভিল সার্জন কার্যালয়ের ইপিআই স্টোরে ওয়াক-ইন-কুলারে ২ থেকে ৮ ডিগ্রী সেন্টিগ্রেড তাপমাত্রায় সংরক্ষণ করা হয়।
সিভিল সার্জন অফিস সূত্রে জানা গেছে, আগামী ১৩ জুলাই মঙ্গলবার থেকে ভ্যাকসিন প্রয়োগ কার্যক্রম শুরু হবে। মর্ডানার ভ্যাকসিন মহানগরীর ৯টি কেন্দ্রে ও সিনোফার্মের ভ্যাকসিন উপজেলা পর্যায়ে রেজিস্ট্রেশনকারীদের মাঝে প্রয়োগ করা হবে। যাদের বয়স ৩৫ বছর থেকে অধিক তারা জাতীয় পরিচয়পত্রের মাধ্যমে রেজিস্ট্রেশন সাপেক্ষে ভ্যাকসিন গ্রহণ করতে পারবে।
সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার হিসেবে চট্টগ্রামে প্রথমবারের মতো আমেরিকার তৈরী মর্ডানার ১ লাখ ৫ হাজার ৬’শ ডোজ ও দ্বিতীয় বারের মতো চীনের তৈরী সিনোফার্মের ৭৮ হাজার ৪’শ ডোজ কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন আমরা পেয়েছি। সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী প্রথম দফায় পাওয়া সিনোফার্মের ৯১ হাজার ২’শ ডোজ ভ্যাকসিন থেকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতাল কেন্দ্রে রেজিস্ট্রেশনকারীদের মধ্যে যারা এখনো সিনোফর্মের প্রথম ডোজ কোভিড ভ্যাকসিন গ্রহন করতে পারেনি তাদেরকে আগামীকাল ১২ জুলাইয়ের মধ্যে ভ্যাকসিন প্রদানের মাধ্যমে প্রথম ডোজের কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়ে দ্বিতীয় ডোজের জন্য ভ্যাকসিন সংরক্ষণ করা হবে। তবে চট্টগ্রাম ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে সিনোফার্মের ভ্যাকসিন প্রদান কার্যক্রম চলমান থাকবে এবং নতুন করে পাওয়া সিনোফার্মের ৭৮ হাজার ৪’শ ডোজ ভ্যাকসিন কমিটির মাধ্যমে উপজেলা পর্যায়ে বন্টন করা হবে। যাদের বয়স ৩৫ বছর থেকে অধিক তারা জাতীয় পরিচয়পত্রের মাধ্যমে রেজিস্ট্রেশন সাপেক্ষে ভ্যাকসিন গ্রহন করতে পারবে।
তিনি বলেন, সিটি করপোরেশন এলাকায় মর্ডানার ভ্যাকসিন পেতে মোট ৯টি কেন্দ্রে রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রম চলমান রয়েছে। কেন্দ্রগুলো হচ্ছে-চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, সিটি করপোরেশন জেনারেল হাসপাতাল, সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল (সিএমএইচ), মোস্তফা হাকিম ম্যাটারনিটি হাসপাতাল, চট্টগ্রাম বন্দর হাসপাতাল, সাফা-মোতালেব ম্যাটারনিটি হাসপাতাল, বন্দরটিলা ম্যাটারনিটি হাসপাতাল, বিএনএস পতেঙ্গা ও চট্টগ্রাম বিএএফ জহুর মেডিকেল স্কোয়াডন। আশা করা যাচ্ছে আগামী ১৩ জুলাই মঙ্গলবার থেকে মর্ডানার ভ্যাকসিন প্রয়োগ কার্যক্রম শুরু হতে পারে। সিভিল সার্জন কার্যালয়ের ইপিআই শাখায় প্রাপ্ত কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন খুব সাবধানতার সাথে ওয়াক-ইন-কুলারে (ডবিøউআইসি) সংরক্ষণ করা রয়েছে।
উল্লেখ্য যে, গত ৩১ জানুয়ারী ১ম দফায় অক্সফোর্ডের অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৈরী ৪ লাখ ৫৬ হাজার ডোজ, ৯ এপ্রিল দ্বিতীয় দফায় আরও ৩ লাখ ৬ হাজার ডোজ এবং ১৮ জুন সিনোফার্মের তৈরী ৯১ হাজার ২’শ ডোজ করোনার ভ্যাকসিন চট্টগ্রামে আসে। ৭ ফেব্রুয়ারী থেকে চট্টগ্রামে টিকাদান কার্যক্রম শুরু হয়।
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.