চট্টগ্রামে সমবেত কন্ঠে গাইলেন ‘জাতীয় সংগীত’

২১

চট্টগ্রাম নগরের চেরাগী পাহাড়ের মোড়ে সমবেত কণ্ঠে গাইলেন- ‘আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালোবাসি’।

শুক্রবার (৬ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৫টায় জাতীয় সঙ্গীতের অবমাননার প্রতিবাদে এ কর্মসূচী পালণ করে চট্টগ্রামের সাধারণ জনতা।

সরেজমিনে দেখা যায়, এ কর্মসূচিতে সংহতি প্রকাশ করেছেন শিক্ষক, সংস্কৃতিকর্মী, চিকিৎসক, আইনজীবী, সাংবাদিক, সাধারণ শিক্ষার্থী, দিনমজুরসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। প্রায় সকলে জাতীয় পতাকা হাতে বিকাল পৌনে পাঁচটার দিকে উপস্থিত হয় চেরাগী পাহাড়ের মোড় এলাকায়। ঘড়ির কাঁটায় পাঁচটা বাজতেই সকলে সমবেত কণ্ঠে গেয়ে উঠলেন জাতীয় সঙ্গীত।

এ সময় উপস্থিত বিক্ষুব্ধ জনতা বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে পাওয়া স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব আমরা ভুলুণ্ঠিত হতে দেব না। যতদিন বাংলাদেশ থাকবে মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে পাওয়া জাতীয় পতাকা ও জাতীয় সঙ্গীতের ওপর কোন আঘাত আসতে দেব না। দেশের জাতীয় সঙ্গীত ও জাতীয় পতাকার ওপর আঘাত মানে মুক্তিযুদ্ধের ওপর আঘাতের সামিল। জীবন দিয়ে হলেও এই ষড়যন্ত্র রুখে দাঁড়াবো। যে বা যারা জাতীয় সঙ্গীতের অবমননা করে ধৃষ্টতাপূর্ণ বক্তব্য দিয়েছেন তিনি বা তারা রাষ্ট্রদোহী। সাধারণ জনতা দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছে। জাতীয় সঙ্গীত নিয়ে ঔদ্ধত্য ও ধৃষ্টতাপূর্ণ বক্তব্য দানকারী ব্যক্তিকে চট্টগ্রামে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে উপস্থিত জনতা। এরপরও জাতীয় সঙ্গীতের ওপর কোন আঘাত আসলে চট্টগ্রামের মানুষ প্রতিবাদে রাজপথে নেমে আসবে।

জাতীয় সঙ্গীত শেষে সকলে প্রতিবাদের ভাষায় জাতীয় সঙ্গীত বদলে ফেলার প্রস্তাবকারীকে ‘রাষ্ট্রদোহী’ আখ্যায়িত করে চট্টগ্রামে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়।

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.