তরুণীকে ধর্ষণ : চট্টগ্রামে ৪ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
চট্টগ্রামে প্রেমের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় তরুণীকে (১৮) ধর্ষণের দায়ে চারজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। আজ মঙ্গলবার চট্টগ্রামের নারী ও শিশু ট্রাইব্যুনাল-৭ এর বিচারক ফেরদৌস আরা এই রায় দেন।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন-চট্টগ্রামের জোরারগঞ্জের মো. নাজমুল (২৯), একই উপজেলার রিয়াজ হোসেন (২৯), জামশেদ আলম (২৪) ও মুরগাং এলাকার মো. দুলাল (২৭)। রায় ঘোষণার সময় মো. দুলাল ছাড়া বাকি তিন আসামি উপস্থিত ছিলেন। পরে তাদের সাজা পরোয়ানামূলে কারাগারে পাঠানো হয়।
রাষ্ট্রপক্ষের বিশেষ কৌঁসুলি অ্যাডভোকেট এম এ নাসের চৌধুরী বলেন, ‘এই মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় আদালত সব আসামিকে যাবজ্জীবনের পাশাপাশি ১ লাখ টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন।’
মামলার নথিসূত্রে জানা গেছে, ২০১৯ সালে ২ আগস্ট জোরারগঞ্জে মরগাং গ্রামে পরিবারের গৃহকর্তার অনুপস্থিতির সুযোগে ঘরে ঢুকে ভুক্তভোগী তরুণীকে ধর্ষণ করে আসামিরা। এই ঘটনায় ২৮ আগস্ট তরুণীর বাবা বাদী হয়ে চারজনের নামে থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন।
মামলা অভিযোগে বলা হয়, আসামি নাজমুল বিভিন্ন সময় ওই তরুণীকে পথে ঘাটে বিরক্ত করে আসছিল। তাঁকে প্রেমের প্রস্তাবও দিয়ে আসছিল। তরুণী প্রেমের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় তাঁকে ভয়ভীতি প্রদান করত। ঘটনার দিন তরুণীর বাসায় তার ছোট বোন ছাড়া কেউ না থাকার সুযোগে আসামি নাজমুলসহ চারজন মিলে ঘরে প্রবেশ করে। এ সময় নাজমুল ওই তরুণীকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। বাকি আসামিরা নাজমুলকে এই অপরাধে সহযোগিতা করে।
আদালত সূত্র জানায়, ২০২০ সালে ১৬ জানুয়ারি জোরারগঞ্জ থানা-পুলিশ এই মামলায় তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয়। দুলাল নামে এক আসামিকে অব্যাহতির সুপারিশ করা হয়। পরে আদালত চারজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচারকার্য শুরু করেন। রাষ্ট্রপক্ষ এই মামলায় মোট আটজন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করে মঙ্গলবার এই রায় ঘোষণা করেন।
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.