ইপিজেড থানায় হামলার ঘটনায় মামলা, আসামি ৩০ হাজার

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতা আন্দোলনে ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর নগরীর ইপিজেড থানায় ভাঙচুর-লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলায় অজ্ঞাত ২৫ থেকে ৩০ হাজার জনকে আসামি করা হয়েছে। থানা ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগে এক কোটি ২৯ লাখ ৪০ হাজার টাকার ক্ষতির পরিমাণ মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়া মামলায় এক কোটি ৪৪ লাখ ৫০ হাজার টাকার মালামাল লুট করা হয়েছে বলেও উল্লেখ আছে।

বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) ইপিজেড থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) শাকিলুর রহমান বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। এরআগে ২৪ আগস্ট (শুক্রবার) রাতে নগর পুলিশের কোতোয়ালি থানায় হামলা ও লুটপাটের ঘটনায় অজ্ঞাতনামা ৩০ থেকে ৪০ হাজার জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছিল। কোতোয়ালি থানার পরিদর্শক (তদন্ত) রিপন কুমার দাশ বাদী হয়ে মামলাটি করেছিলেন।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ৫ আগস্ট বিকেলে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর ২৫ থেকে ৩০ হাজার দুর্বৃত্ত ইপিজেড থানায় দেশীয় অস্ত্র, লোহার রড, পেট্রোল বোমা ও ককটেল নিয়ে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। হামলাকারীদের ভয়ে পুলিশ সদস্যরা আত্মরক্ষার্থে থানা ছেড়ে পালিয়ে গেলে ভাঙচুর লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করে অস্ত্র ও মালামাল লুট করে নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। এছাড়া দুর্বৃত্তদের দেওয়া আগুনে থানার রেজিস্ট্রারপত্র, সরকারি ও বেসরকারি গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র এবং মালামাল পুড়ে যায়। এ ঘটনায় অনেক পুলিশ সদস্যও আহত হন।

চট্টগ্রাম নগর পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (এডিসি-মিডিয়া) কাজী তারেক আজিজ  জানান, ইপিজেড থানায় হামলা-ভাঙচুর ও অস্ত্র লুটের অভিযোগে পুলিশের পক্ষ থেকে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলায় ২৫ থেকে ৩০ হাজার জনকে আসামি করা হয়েছে।

ইপিজেড থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ হোছাইন জানান, গত ৫ আগস্ট বিকেলে ইপিজেড থানায় হামলা করে দুবৃত্তরা লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করে গুরুত্বপূর্ণ নথি ও বিভিন্ন মামলার আলামত নষ্ট করেছে। এ সময় থানার অস্ত্র ও গোলাবারুদ লুট হয়েছে। এ ঘটনায় অজ্ঞাত ২৫ থেকে ৩০ হাজার জনকে আসামি করে ১৮৬০ সালের পেনাল কোড আইনের বিভিন্ন ধারায়, বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা পদত্যাগের পর চট্টগ্রাম নগরীর ১১টি থানা আক্রান্ত হয়। আগুন দেওয়া হয় আটটি থানায়। ছয়টি থানা থেকে লুট করে নেওয়া হয় অস্ত্র। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় কোতোয়ালি, পতেঙ্গা, ইপিজেড, সদরঘাট ও ডবলমুরিং থানা।

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.