চট্টগ্রামের ফটিকছড়িতে বন্যার পানিতে নিঁখোজ ইমরান (২২) নামে আরো একজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ নিয়ে তিনদিনের বন্যায় ফটিকছড়ি, হাটহাজারী ও রাঙ্গুনিয়াসহ চট্টগ্রামের এ তিন উপজেলায় শিশুসহ ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। ইমরানের মরদেহ শনিবার (২৪ আগস্ট) উপজেলার নারায়নহাট ইউনিয়নের ইসহাক ডাক্তারের বাড়ির পূর্ব পাশে মইঙ্গে পুকুর পাড় নামক স্থান থেকে উদ্ধার করা হয়। নিহত ইমরান ওই এলাকার তাজুল ইসলাম সওদাগরের ছেলে।
এখন পর্যন্ত ফটিকছড়িতে শিশুসহ চারজন, হাটহাজারীতে একজন ও রাঙ্গুনিয়ায় একজনের মৃত্যুর বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া গেছে। তারা হলেন- ফটিকছড়িতে শনিবার উদ্ধার হওয়া মৃত ইমরান ছাড়া রজি আহমেদ (৫৫), মো. সামি (৭) ও অজ্ঞাত একজনেরমৃত্যুর খবর নিশ্চিত হওয়া গেছে। এছাড়া রাঙ্গুনিয়ার দক্ষিণ রাজানগর ইউনিয়নে পানিতে তলিয়ে বাসিন্দা মো. রনি (১৭) ও হাটহাজারীতে বন্যার পানিতে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে জিয়াউর রহমান সাকিব (২২) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।
এদিকে কিছু কিছু স্থানে পানি নামতে শুরু করলেও বন্যা পরিস্থিতি এখনো প্রায় অপরিবর্তিত চট্টগ্রামে। পানি নামতে শুরুর সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে ক্ষয়ক্ষতির খবর। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন ফটিকছড়ি, মিরসরাই, হাটহাজারী উপজেলার বাসিন্দারা। ১০ উপজেলায় বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন ৫০ হাজার পরিবারের প্রায় তিন লাখ মানুষ। চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন ও জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কার্যালয় থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের তথ্যমতে, জেলায় বন্যায় ৫০ হাজার ৭০৬টি পরিবারের প্রায় দুই লাখ ৬২ হাজার ৪০০ মানুষ পানিবন্দি। বন্যায় মীরসরাই ও ফটিকছড়ি উপজেলার ৫৯০ কিলোমিটার রাস্তা ও ১২৫টি কালভার্ট ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ফটিকছড়ি উপজেলায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৩৬৫টি নলকূপ ও এক হাজার ৫৩৭টি ল্যাট্রিন।
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.