নতুন বাংলাদেশে যেন স্বৈরাচারের প্রেতাত্মারা ফিরে না আসে : জামায়াতের আমীর

১৯

বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে আহতদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে দেখতে গেলেন জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমান।

এ সময় নতুন বাংলাদেশে যেন স্বৈরাচারের প্রেতাত্মারা ফিরে না আসে উল্লেখ করে তিনি বলেছেন, অনেক ত্যাগ তিতিক্ষার পর যে নতুন বাংলাদেশ পেয়েছি সেখানে আর কখনো যেন স্বৈরাচারের প্রেতাত্মারা ফিরে না আসে। জুলুম নির্যাতনের পুনরাবৃত্তি যাতে না হয়। জাতি ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে হাতে হাত মিলিয়ে আমরা ইনসাফের বাংলাদেশ গড়বো।

বুধবার ( ২১ আগস্ট ) সকাল ৯টার দিকে হাসপাতালে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে জামায়াতের আমীর এসব কথা বলেন।

ডা. শফিকুর রহমান বলেন, এখানে আহতদের মধ্যে যাদেরকে দেখেছি তাদের প্রত্যেকের মুখে আমরা হাসি দেখেছি, আন্দোলনের জন্য নিজেদের রক্ত দিতে পেরে তারা প্রত্যেকেই গর্বিত। আর হাসপাতালের পরিচালকসহ কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ আহতদের ভালো সেবা দেয়ার জন্য।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন চমেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল তসলিম উদ্দিন। তিনি ডা. শফিকুর রহমানকে ফুল দিয়ে বরণ করে নেন।

এ সময় বহু এলাকাবাসী ও ছাত্র-জনতা উপস্থিত হয়ে তাঁকে উষ্ণ সংবর্ধনা জানান। এ সময় হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন ছাত্র আন্দোলনে আহতদের চিকিৎসার খোঁজ খবর নেন জামায়াতের আমীর ডা. শফিকুর রহমান।

পরে বুধবার সকাল ১০টার দিকে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে নিহত শহীদ ওমর ফারুকের পরিবারের সাথে সাক্ষাতের জন্য লালখানবাজারস্থ চাঁনমারি রোডের টাঙ্গির পাহাড়ের বাসায় যান জামায়াতের আমীর। এ সময় বিপুল সংখ্যক জনতা লালখানবাজার মোড়ে তাঁকে অভিনন্দন জানান।

সেখানে ছাত্র আন্দোলনে নিহত শহীদ ফয়সাল আহমেদ শান্ত ও শহীদ ওমর ফারুকের পরিবার পরিজনের পাশে দাঁড়ানোর জন্য সবার প্রতি আহবান জানান জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমান।

এছাড়াও তিনি মুরাদপুরে ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত শহীদ ফয়সাল আহমেদ শান্তর ইপিজেডের (প্রি-পোর্ট) বাসায় যান। তিনি শহীদ শান্তর বাবা-মা, নানী ও ছোটবোনের সাথে সাক্ষাত করেন এবং তাদের পারিবারিক খোঁজখবর নেন ও দোয়া কামনা করেন। বিদায় মুহূর্তে তিনি উপস্থিত ছাত্র-শ্রমিক সর্বস্তরের জনতার উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও কেন্দ্রীয় এসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা মুহাম্মদ শাহজাহান, কেন্দ্রীয় মজলিশে শুরা সদস্য, সংসদীয় দলের সাবেক হুইপ, চট্টগ্রাম মহানগরী আমীর ও সাবেক এমপি জননেতা আলহাজ¦ শাহজাহান চৌধুরী, কেন্দ্রীয় মজলিশে শূরা সদস্য ও মহানগরী নায়েবে আমীর ড. আ জ ম ওবায়েদুল্লাহ ও মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় মজলিশে শূরা সদস্য, চট্টগ্রাম মহানগরী সেক্রেটারি অধ্যক্ষ মুহাম্মদ নুরুল আমীন, কেন্দ্রীয় মজলিশে শূরা সদস্য ও মহানগরী এসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি অধ্যক্ষ মাওলানা খাইরুল বাশার, মুহাম্মদ উল্লাহ, এফ এম ইউনুছ ও মোরশেদুল ইসলাম চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক কাউন্সিলর অধ্যক্ষ শামসুজ্জামান হেলালী, কর্মপরিষদ সদস্য ডা. ছিদ্দিকুর রহমান, শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন চট্টগ্রাম মহানগরী সভাপতি এস এম লুৎফর রহমান, মহানগরী অফিস সম্পাদক আবু হেনা মোস্তফা কামাল, কোতোয়ালী থানা আমীর আমির হোছাইন, ইপিজেড থানা আমীর আবুল মোকাররম, ডা. এটিএম রেজাউল করিম, ডা. ইরফান উদ্দিন চৌধুরী, ডা. মোহাম্মদ নাছের, ডা. মুসলিম উদ্দিন সবুজ প্রমুখ।

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.