চট্টগ্রামে কোটা সংস্কার দাবিতে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষে তিনজন নিহত হয়েছেন। নিহতরা হলেন, নিহতরা হলেন- মো. ফারুক (৩২), মো. ওয়াসিম আকরাম (২২) ও ফিরোজ (২৪)।
নিহত ওয়াসিম আকরামের বাড়ি কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলা সদর ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের দক্ষিণ মেহেরনামা বাজার পাড়া এলাকায়।নিহত ওয়াসিম আকরাম ওই এলাকার শফিউল আলম ও জোৎসনা আক্তারের ছেলে। ২ ভাই ও ৩ বোনের মধ্যে ওয়াসিম ২য়। সে সদর ইউনিয়নের মেহেরনামা উচ্চবিদ্যালয়ের ২০১৭ সালের এসএসসি ব্যাচে এবং চট্টগ্রাম কলেজের সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের ৩ বর্ষের ছাত্র।
অন্যদিকে ফারুক ফার্নিচার দোকানের কর্মচারী। তার বুকে গুলির চিহ্ন ও ফিরোজের পিঠে গুলির চিহ্ন রয়েছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক। আহত অন্তত ২০ জন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। এর মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) বিকেলে আহত অবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে আনা হলে চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ পুলিশ কমিশনার এডিসি (দক্ষিণ) মো. আশরাফুল করিম বলেন, বিকেলে সোয়া ছয়টা পর্যন্ত তিনজন নিহত হয়েছে। আহতের সংখ্যা অনেক। আমাদের অনেক পুলিশ সদস্যও আহত হয়েছেন। তাদের সংখ্যা এখন বলা যাচ্ছে না।
চমেক হাসপাতালে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. নুজহাত ইনু বাংলানিউজকে বলেন, চমেক হাসপাতালে দুইজনকে মৃত অবস্থায় আনা হয়। এর মধ্যে ফারুক নামে একজনকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পাওয়া যায়।
পরে চমেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল তসলিম উদ্দিন জানান, চমেক হাসপাতালে আসা রোগীদের মধ্যে তিনজন মারা গেছে। তিনজনই গুলিবিদ্ধ।
তিনি জানান, হাসপাতালে ৩০-৪০ জন ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে ২ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। আহতদের মধ্যে ১০ জনের মাথায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তাদের নিউরোসার্জারি ওয়ার্ডে ভর্তি করানো হয়েছে। এ ছাড়া ১ জনের চোখ উপড়ে গেছে।
সংঘর্ষের পর চট্টগ্রামে তিন প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিজিবির ব্যাটালিয়ন-৮ চট্টগ্রামের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল শাহেদ মিনহাজ সিদ্দিকী।
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.