১৮ জুলাই এলএনজি সরবরাহ হচ্ছে না
নোঙর করতে গিয়ে এলএনজি টার্মিনালটির মেসেঞ্জার লাইন ক্ষতিগ্রস্ত
ঘূর্ণিঝড় রিমালের আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পর সিঙ্গাপুরে মেরামতের জন্য পাঠানো হয়েছিল ভাসমান এই এলএনজি টার্মিনালটি। দৈনিক ৫০০ মিলিয়ন ঘনফুটের বেশি রিগ্যাসিফিকেশন ক্যাপাসিটির টার্মিনালটি আগামী ১৮ জুলাই থেকে অপারেশনাল কাজে যুক্ত হওয়ার কথা ছিল।
কিন্তু মেরামত শেষে সিঙ্গাপুর থেকে গত ১০ জুলাই কক্সবাজারের মহেশখালীর অদূরে বঙ্গোপসাগরে এসে পৌঁছায় টার্মিনালটি। গত ১১ জুলাই সমুদ্রের তলদেশে ডিসকানেক্টেবল টারেট মুরিং (ডিটিএম) প্লাগ ও ল্যান্ডিং প্যাডের সঙ্গে এফএসআরইউয়ের নোঙর করার চেষ্টা করা হয়। এ সময় আকস্মিকভাবে ডিটিএম বয়া মেসেঞ্জার লাইনে (বিশেষ এক ধরনের দড়ি) জটলা বেঁধে লাইনটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
ফলে আগামী ১৮ জুলাই এই টার্মিনাল দিয়ে জাতীয় গ্রিডে এলএনজি সরবরাহের কথা থাকলেও সেটি আপাতত হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
সোমবার (১৫ জুলাই) সামিট গ্রুপের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ফ্লোটিং স্টোরেজ রিগ্যাসিফিকেশন ইউনিটের (এফএসআরইউ) ব্যালাস্ট ওয়াটার ট্যাংকের মেরামত শেষে সিঙ্গাপুর থেকে গত ১০ জুলাই কক্সবাজারের মহেশখালীতে এসে পৌঁছায় টার্মিনালটি। এরপর ১১ জুলাই সমুদ্রের তলদেশে ডিসকানেক্টেবল টারেট মুরিং (ডিটিএম) প্লাগ ও ল্যান্ডিং প্যাডের সঙ্গে এফএসআরইউয়ের নোঙর করার চেষ্টা করা হয়। এ সময় আকস্মিকভাবে ডিটিএম বয়া মেসেঞ্জার লাইনে জটলা বেঁধে লাইনটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
সামিট জানায়, বিষয়টি অনুসন্ধানের জন্য দ্রুত সময়ে স্থানীয় ডুবুরিদের নিযুক্ত করা হয়। ডুবুরিরা মেসেঞ্জার লাইনে জটলা খুঁজে পান। তবে ক্ষতিগ্রস্ত মেসেঞ্জার লাইনটি সমুদ্রের তলদেশ থেকে উদ্ধারের জন্য বিশ্বমানের ডুবুরি ও ড্রাইভিং সাপোর্ট ভেসেল (ডিএসভি) প্রয়োজন। এরই মধ্যে বিষয়টি নিয়ে অধিকতর পর্যবেক্ষণের জন্য সামিট সিঙ্গাপুরভিত্তিক একটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। বর্তমানে ডুবুরি দলের অপেক্ষায় রয়েছে এফএসআরইউ কর্তৃপক্ষ।
বিষয়টি অনুসন্ধান করে ডুবুরি দল আগামী সপ্তাহের মধ্যে পর্যবেক্ষণ প্রতিবেদন দেবে। প্রতিবেদনের ওপর ভিত্তি করে সামিট ক্ষতিগ্রস্ত লাইনটি পুনঃসঞ্চালনের সম্ভাব্য তারিখ সকল অংশীদারদের অবহিত করা হবে বলে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে সামিট ।
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.