এবার আনোয়ারায় প্রকাশ্যে যুবলীগ নেতা হত্যা, গ্রেপ্তার ১
চট্টগ্রামের আনোয়ারায় দিনের আলোতে প্রকাশ্যে যুবলীগ নেতা জালালকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে । এ হত্যাকান্ডের ঘটনায় আনোয়ারা থানা পুলিশ ছৈয়দ আহমদ (৫৯) নামে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে।
রোববার ( ১৪ জুলাই) ভোরে নিহত জালাল জুইঁদন্ডী থেকে ট্রাকে করে মাছ নিয়ে যাবার সময় শোলকাটা মনুমিয়ার দিঘিরপাড় এলাকায় পৌঁছালে পূর্ব থেকে ওঁতপেতে থাকা সন্ত্রাসিরা তাকে এলোপাতাড়ি কোপালে ঘটনাস্থলে তার মৃত্যু হয়। নিহত জালাল উদ্দিন উপজেলার জুঁইদন্ডী ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের আলতাফ মুন্সীর ছেলে। তিনি পেশায় মাছ ব্যবসায়ী। জুঁইদন্ডী চৌমূহনী বাজারে তার মাছের দোকান রয়েছে।
ঘটনার প্রত্যক্ষদশী স্থানীয় গ্রাম পুলিশ মহিউদ্দিন সিকদার জানান, ভোরে জালালসহ জুইঁদন্ডী থেকে ট্রাকে করে মাছ নিয়ে কালাবিবির দিঘির আড়তে যাচ্ছিলাম আমরা। শোলকাটা মনুমিয়ার দিঘিরপাড় এলাকায় পৌঁছালে সড়কে আমাদের গাড়িকে গতিরোধ করে একটি গাড়ি।
তিনি জানান, জালাল ঘটনা বুঝতে পেরে গাড়ি থেকে নেমে দৌঁড় দিতে চাইলে জুঁইদন্ডী এলাকার মোক্তার ও তার দুই সহযোগী জালালকে দৌড়ে ধরে দেশিয় ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকে। আমাদের চিৎকারে স্থানীয়রা আসলে তারা পালিয়ে যায়। পরে জালালকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
জুঁইদন্ডী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাষ্টার মুহাম্মদ ইদ্রিছ বলেন, মোক্তার এর আগেও একটি হত্যার ঘটনা ঘটিয়েছে। সে এলাকার চিহ্নিত একজন সন্ত্রাসী। কিছুদিন আগে প্রকাশ্যে জালালকে হত্যার ঘোষণাও দিয়েছিল।
আনোয়ারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সোহেল আহমেদ চট্টগ্রাম২৪ নিউজকে বলেন, ছৈয়দ আহমদ নামের ওই ব্যক্তিকে হত্যার ঘটনার পরপর অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করা হয়। এ ছাড়া এ ঘটনায় জড়িত অন্যদের গ্রেপ্তারে আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। জালাল হত্যার ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন আছে। মামলা হওয়ার পর তদন্ত করে ঘটনার বিষয়ে বিস্তারিত বলা যাবে।
তিনি বলেন,মোক্তার ও জালালের মধ্যে পূর্ব শত্রুতা রয়েছে বলে আমরা জেনেছি। তাদের মধ্যে একাধিকবার মারামারির ঘটনাও ঘটে। তাদের বিরুদ্ধে থানায় একাধিক মামলা রয়েছে।
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.