জমিয়াতুল ফালাহ মসজিদে ঈদের প্রথম জামাত সকাল সাড়ে ৭টায়

দ্বিতীয় জামাত সকাল সোয়া ৮টায়

২৬

ঈদুল আযহার প্রথম ও প্রধান জামাত নগরীর জমিয়াতুল ফালাহ মসজিদে অনুষ্ঠিত হবে। সোমবার ( ১৭ জুন ) সকাল সাড়ে ৭টা প্রথম জামাত  এবং সকাল সোয়া ৮টায় দ্বিতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে। এদিন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের তত্ত্বাবধানে ৯ মসজিদে ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হবে। এ ছাড়া নগরের ৪১টি ওয়ার্ডগুলোতে সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড কাউন্সিলরগণের তত্ত্বাবধানে ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হবে।

চসিকের তত্বাবধানে যে ৯ মসজিদে ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হবে তা হচ্ছে— লালদীঘি সিটি কর্পোরেশন শাহী জামে মসজিদ, হযরত শেখ ফরিদ (রঃ) চশমা ঈদগাহ মসজিদ, সুগন্ধা আবাসিক এলাকা জামে মসজিদ, চকবাজার সিটি কর্পোরেশন জামে মসজিদ, জহুর হকার্স মার্কেট জামে মসজিদ, দক্ষিণ খুলশী (ভিআইপি) আবাসিক এলাকা জামে মসজিদ, আরেফীন নগর কেন্দ্রীয় কবরস্থান জামে মসজিদ, সাগরিকা গরুবাজার জামে মসজিদ এবং মা আয়েশা সিদ্দিকী চসিক জামে মসজিদ (সাগরিকা জহুর আহমদ চৌধুরী স্টেডিয়াম সংলগ্ন)।

শনিবার (১৫ জুন) ঈদুল আজহার কেন্দ্রীয় জামাতের জন্য চট্টগ্রামের জমিয়তুল ফালাহ ঈদগাহ ময়দান সম্পূর্ণ প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম সিটি মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী।

জমিয়তুল ফালাহ মসজিদের মাঠ পরিদর্শনকালে মেয়র বলেন, চট্টগ্রামের কেন্দ্রীয় ঈদ জামাতের জন্য জমিয়তুল ফালাহ ঈদগাহ ময়দান সম্পূর্ণ প্রস্তুত। এবার সকাল ৭টা ৩০ মিনিটে ও ৮টা ১৫ মিনিটে দুটি জামাতে নামাজের ব্যবস্থা করা হয়েছে। মুসল্লিদের সুবিদার্থে পর্যাপ্ত ফ্যান, আর সামিয়ানা থাকবে। অজু করার জন্য মসজিদের অজুখানার পাশাপাশি অতিরিক্ত গাড়িতে পানির সুব্যবস্থা করা হয়েছে। নিরাপত্তার জন্য থাকছে সিসিটিভি মনিটরিংসহ পর্যাপ্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রশিক্ষিত সদস্যরা। পাশাপাশি ওয়ার্ড কাউন্সিলরদের তত্ত্বাবধানে ওয়ার্ডগুলোতে ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হবে।

স্বাভাবিক বৃষ্টিতে নামাজ বিঘ্নিত না হওয়ার জন্য মসজিদের আশপাশের নালাগুলো পরিষ্কার করা হয়েছে। তবে অস্বাভাবিক বৃষ্টিতে পানি উঠলে মসজিদের ভিতরে জামাত হবে। এছাড়া মুরাদপুরের মুহাম্মদপুরে ঈদের নামাজ পড়তে পারবে এমন একটি ঈদগাহ নির্মাণ করেছি৷’

কোরবানির বর্জ্য পরিষ্কারে পর্যাপ্ত প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে জানিয়ে মেয়র বলেন, সাত ঘণ্টার মধ্যে নগরকে কোরবানির বর্জ্যমুক্ত করার জন্য প্রস্তুতি নিয়েছি আমরা। পশুর নাড়ি-ভুড়ি নেয়ার জন্য পলিথিন সরবরাহ করা হবে। এছাড়া, চামড়া ব্যবসায়ীদের সাথে আমরা সভা করেছি৷ আশা করি এবার চামড়া নষ্ট হয়ে পরিবেশ বিনষ্ট হবে না৷”

এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন প্যানেল মেয়র গিয়াস উদ্দিন, কাউন্সিলর আবুল হাসনাত মো. বেলাল, আবদুস সালাম মাসুম, মেয়রের একান্ত সচিব আবুল হাশেম।

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.