ঘূর্ণিঝড় রেমাল মোকাবেলায় প্রস্তুত চট্টগ্রাম

প্রস্তুত রয়েছে ১০৩৪টি আশ্রয়কেন্দ্র, ২৯০টি মেডিকেল টিম, ফায়ার সার্ভিসের ৯ টি স্টেশন। এছাড়া ১৫ উপজেলার প্রতি ইউনিয়নে মেডিকেল টিম প্রস্তুত রেখেছে জেলা সিভিল সার্জন অফিস

৩২

ঘূর্ণিঝড় রেমালের মোকাবেলায় চট্টগ্রামে প্রস্তুত রয়েছে ১০৩৪টি আশ্রয়কেন্দ্র। একই সঙ্গে ১১৪০টি বিদ্যালয় ও নয়টি মুজিব কেল্লা আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহারের জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এছাড়া প্রস্তুত রাখা হয়েছে ২৯০টি মেডিকেল টিম। এছাড়া চট্টগ্রামের ৯টি  স্টেশনের সব কর্মকর্তা-কর্মচারীর ছুটি বাতিল করে ২৭০ জনকে প্রস্তুত রেখেছে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স। অন্যদিকে চট্টগ্রামের ১৫ উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নে একটি করে মেডিকেল টিম প্রস্তুত রেখেছে চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন অফিস।

শনিবার (২৫ মে ) রাতে  জরুরি সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে জানিয়ে চট্টগ্রামের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) রাকিব হাসান জানান, প্রায় পাঁচ শতাধিক আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত করা হচ্ছে। ২৯০টি মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে। এছাড়া চট্টগ্রামের উপকূলবর্তী সকল উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা ও স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান-মেম্বারদের সতর্ক অবস্থানে রয়েছেন।

চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইলিয়াছ চৌধুরী জানান, এদিকে প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘রেমাল মোকাবেলায় চট্টগ্রামের ১৫ উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নে একটি করে মেডিকেল টিম প্রস্তুত রাখার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এ ছাড়া যেকোনো ধরণের দূর্যোগ মোকাবেলায় কন্ট্রোল রুমের দেয়া নম্বর-০২৩৩৩৩৫৪৮৪৩ নাম্বারে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে।

এদিকে চট্টগ্রাম ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপ-পরিচালক দিনমনি শর্মা বলেন, চট্টগ্রামের বিভিন্ন উপকূলীয় এলাকায় ফায়ার সার্ভিস কাজ শুরু করে দিয়েছে। ঝড় শুরু হওয়ার আগে নিরাপদ স্থানে অবস্থান নেওয়ার জন্য মাইকিং করা হচ্ছে। এছাড়া নগরের কোথাও এখনো কার্যক্রম শুরু হয়নি। অবহাওয়ার অবস্থা দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।  কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ছুটি বাতিল করে ৯ টি স্টেশনের মোট ২৭০ জন কর্মী প্রস্তুত আছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

ঘূর্ণিঝড় রেমাল প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নেয়ায় ইতিমধ্যে চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরে  ৯ নম্বর বিপদ সংকেত জারি করেছে আবহাওয়া অফিস।  আবহাওয়ার ১০ নম্বর বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে কক্সবাজার ও চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দরকে ৯ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। এরআগে রোববার সকালে আবহাওয়া অধিদপ্তরের সর্বশেষ বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঘূর্ণিঝড় রেমাল আজ সকাল ৬টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৪০০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৩০০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৩৩০ কিলোমিটার দক্ষিণে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ২৯৫ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থান করছিল। এটি আরও উত্তর দিকে এগিয়ে ঘনীভূত হতে পারে। ঘূর্ণিঝড়কেন্দ্রের ৫৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬৪ কিলোমিটার। এটি দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ১৩০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড়কেন্দ্রের কাছের এলাকায় সাগর খুবই উত্তাল রয়েছে। এটি আরও উত্তর দিকে অগ্রসর হয়ে ২৬ মে ২০২৪ সন্ধ্যা থেকে মধ্যরাত নাগাদ মোংলার নিকট দিয়ে সাগর আইল্যান্ড (পশ্চিমবঙ্গ)- খেপুপাড়া উপকূল অতিক্রম করতে পারে।

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.